All Menu

২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। একইসঙ্গে, দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় আরও ২-৩ দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। রবিবার নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গতবছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভালো ছিল। পেঁয়াজের দাম কম ছিল, কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল। সে বছর দাম বাড়বে-এই আশায় মজুত করে রাখা পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেজন্য, এবছর পেঁয়াজের কী অবস্থা আমরা দেখতে চাচ্ছি। কৃষকের নিকট, গুদামে ও আড়ৎদারের নিকট কী পরিমাণ পেঁয়াজ আছে, তা দেখতে গত ২-৩ দিন মাঠ পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে, যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে। তবে, দাম আরো বাড়বে-এই আশায় বাজারে বিক্রি করছে না। এছাড়া, কেবলই পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যম আয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গতবছর কৃষকেরা দাম কম পাওয়ায় এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় ২ লাখ টনের মতো। আমরা উচ্চপর্যায়ে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছি। গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষেণ করছি। ২-৩ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না। মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। তবে আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি, কীভাবে গুদামে রাখা যায়। যদি শেলফ লাইফ বাড়ানো যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো কারণ নেই : কৃষিমন্ত্রী
নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনো কারণ দেখছি না। আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না। তারা বাস্তবতা বুঝবে এবং একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সহযোগিতা দিবে। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কোনোদিনই আমরা কামনা করি না ও সহজভাবে নিতে পারি না। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার রয়েছে, আর ৬ মাস পর আরেকটি নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ীই সেই নির্বাচন হবে।মিশরের উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, মিশরে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার ৬ মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সেদেশকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top