All Menu

শেখ হাসিনা স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৭ মে বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা, সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ও পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নকারী। বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বে রোল মডেল। মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, ও গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ আর সাহায্য নির্ভর নয়, স্বনির্ভর দেশ। ঋণ নির্ভর নয়, ঋণ দাতা দেশ। সাহসী ও দুরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের স্মার্ট, উন্নত- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস, গণতন্ত্র হত্যা, জেল-জুলুম, গুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। জিয়া রাজনীতিকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ও রাজনীতিবিদদের কারা বন্দী করে দেশে দল ভাঙ্গার রাজনীতি চালু করে। জিয়া বিনা আপরাধে ও বিনা বিচারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বুধবার ঢাকায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুহিবুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার। সভাপতির বক্তব্যে সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে ধারাবাহিক উন্নয়ন তার মাধ্যেম ২০৪১ সালের আগেই এদেশ বিশ্বে উন্নত -সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্য আফরোজা হাসমত ও তাহমিনা সুলতানা। আলোচনা পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া ছিল শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top