ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, ছোলাসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত রয়েছে। কোনো পণ্যের ঘাটতি বা মূল্য বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। একসঙ্গে বেশি পণ্য ক্রয় করে বাজারে চাপ সৃষ্টি করার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রতিটি পণ্য চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি মজুত রয়েছে। সরকার চিনির আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের কারণে প্রায় পাঁচ টাকা চিনির মূল্য কমবে। শুল্ক প্রত্যাহারের সুবিধাপ্রাপ্ত চিনি অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে আসবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদেরও সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রেখে ভোক্তাকে স্বস্তি প্রদান করতে পারে। দেশবন্ধু গ্রুপ ইতোমধ্যে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য ট্রাক সেলে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে। দেশের অন্যান্য গ্রুপগুলোও মিল গেইট মূল্যে খোলাবাজারে ট্রাক সেলের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। আশা করা যায় এর প্রভাব বাজারে পড়বে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি’র মাধ্যমে দেশের কার্ডধারী এককোটি নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে দুই কিস্তিতে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয় করছে। এতে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি নিম্নআয়ের মানুষ উপকৃত হবে। উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, ভোক্তা সমনি¦তভাবে সততার সাথে দায়িত্বশীল কাজ করলে বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব। মন্ত্রী রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্য মূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এর ৬ষ্ঠ সভায় টাস্কফোর্সের উপদেষ্টা হিসাবে যোগদান করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। কেউ কৃত্রিম উপায়ে কোনো পণ্যের অবৈধ মজুত করে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাজারে মুরগির সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব টাস্কফোর্স এর ৬ষ্ঠ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমশনের চেয়ারম্যান (সরকারের সচিব) মোঃ ফয়জুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ এর প্রতিনিধিগণ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের এম্বাসেডর মানসুর চাভোশি (Mansour Chavoshi) এর নেতৃত্বে একটি ইরানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় ইরানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মত প্রকাশ করা হয়। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় সফররত ভারত চেম্বার অভ্ কমার্স এর প্রেসিডেন্ট এন জি খাইতানের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশের মানুষের যাতায়াতের জন্য ভিসা সহজীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।