বান্দরবান, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বান্দরবানে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা যাতে এখানকার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে সেজন্য স্থানীয় বন বিভাগ গাছ লাগানোসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সৌন্দর্যমণ্ডিত কৃষ্ণচূড়া, পলাশসহ নানা ধরনের গাছ অধিক পরিমাণে লাগানো হবে। রাস্তার দু’ধারে এ গাছ লাগানো হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সাথে সমন্বয় করে এসকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। বৃহস্পতিবার ইকো-ট্যুরিজম সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য বান্দরবান বন বিভাগ ও বান্দরবান পাল্পউড প্ল্যান্টেশন বিভাগের আওতাধীন বনাঞ্চলসমূহ পরিদর্শন শেষে নীলগিরিতে অবস্থিত রেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বনমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা যাতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে জুম চাষ করে, পাহাড়ে যাতে আগুন না লাগায় সে বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার তাদের জীবনমান উন্নয়নে জীবিকা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, বান্দরবানের সংরক্ষিত ১ লাখ ৮৫ হাজার একর পাহাড়ি বনাঞ্চলের বৃক্ষহীন স্থানগুলোতে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করবে সরকার। পাহাড় বৃক্ষাচ্ছাদিত থাকলে পানি থাকবে, আর পানি থাকলে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচতে পারবে। এটা পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য হটস্পট উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে এখানকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা হবে। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষ বিপুল কৃষ্ণ দাস, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল, বান্দরবান পাল্পউড বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান এবং বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।