ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সোমবার রাজধানীর মহাখালীস্থ নিপসম অডিটোরিয়ামে জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত দেশের ৬-৫৯ মাস বয়সী মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৬-৫৯ মাস বয়সী কয়েকজন শিশুকে লাল ও নীল রঙের ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ টিটো মিঞাসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে ৪ থেকে ৫ ভাগ শিশু রাতকানা হয়ে জন্ম নিত। সেই হার এখন শুন্য দশমিক ১ ভাগে নেমে এসেছে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুদের জন্য কেবল রাতকানা প্রতিরোধের জন্যই ব্যবহার হয় না, এই ক্যাপসুল শিশুদের মৃত্যুহার কমায় প্রায় ২৪ ভাগ। হাম, ফাইলেরিয়ার মতো রোগ হয় না। শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চাই। সোনার বাংলা করতে সোনার শিশু তৈরি করতে হবে। সেই সোনার শিশু তৈরি করতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে এই ভিটামিন যেন নির্দিষ্ট বয়সের সব শিশু খেতে পারে, তার জন্য আজকের দিনে সকল মাকে তাঁর নির্দষ্ট বয়সী শিশুদের সাথে নিয়ে নিকটস্হ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টিকা খাওয়াতে অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের বছরে দুবার খাওয়াতে হয়। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী সারাদশের সকল সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে খাওয়ানো হবে। এর জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী একযোগে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে কাজ করবে। ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান এবং ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।