ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে অবদান রাখা বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিটিভিকে তার ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এভাবেই বর্ণনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ। রবিবার রাজধানীর রামপুরায় বিটিভি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় এ সম্প্রচার মাধ্যমের ৫৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ দিনের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিটিভিকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর কথা উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ জানান, বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ বিটিভি ও বিটিভি চট্টগ্রাম নিয়ে এখন বিটিভির চারটি চ্যানেল। আরো ছয়টি বিভাগীয় শহরে বিটিভির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬৪ সাল থেকে বাংলা ভাষায় বিশ্বের প্রথম টিভি চ্যানেল বিটিভি গত ৫৮ বছরের পথচলায় আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে লালন করার ক্ষেত্রে, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে, দেশ ও জাতি গঠনে, জাতির মনন তৈরিতে যে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে সেটি অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এ দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং সেই বেসরকারি টেলিভিশন যারা শুরু করেছিলেন তাদের বেশিরভাগেরই হাতেখড়ি বাংলাদেশ টেলিভিশনে। বিটিভি অনেক নামীদামী শিল্পীর জন্ম দিয়েছে।’ বিটিভির অনেক কর্মকর্তা মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন এবং ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বিটিভির চারজন কর্মকর্তাকেও ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে, স্মরণ করেন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় সব ক্ষেত্রেই বিটিভির অবদান রয়েছে। তৎকালীন ডিআইটি বর্তমান রাজউক ভবনে শুরুর পর রামপুরায় বিটিভির নতুন ভবন উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করতে না দেওয়ায় বিটিভি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেদিন কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। সেই বিটিভির জন্য অনেক শুভকামনা।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন পাইলট প্রকল্পকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দূরদৃষ্টি দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় সম্প্রচার গণমাধ্যমে রূপ দেন। সম্প্রচার জগতের পথিকৃৎ হিসেবে সেই বিটিভি জাতীয় জীবনে ও দেশে সকল টিভি চ্যানেলের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। অনুষ্ঠানের সভাপতি বিটিভির মহাপরিচালক এবং বক্তারা বিটিভির প্রবীণ ও নবীন সকল শিল্পী, কুশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অভিনন্দন জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।