All Menu

পুষ্টিহীনতা দূর করতে জিংক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়ানোর আহবান খাদ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বায়োফর্টিফাইড জিংক রাইসের মাধ্যমে দেশের মানুষের জিংকের ঘাটতি পূরণ সম্ভব । তিনি পুষ্টিহীনতা দূর করতে জিংক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে পর্যটন কনফারেন্স হলে ‘বায়োফর্টিফাইড জিংক রাইস অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ বায়োফর্টিফাইড জিংক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে বা এর গুণাগুণ সম্পর্কে সচেতন নন এবং তাঁরা এই জিংক সমৃদ্ধ চাল বা ধান সম্পর্কে জানেনও না। তিনি জিংক সমৃদ্ধ চালে ভোক্তাকে আকৃষ্ট করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। আজকাল আমরা রাসয়নিক ফর্মুলায় তৈরি করা জিংক খাচ্ছি কিন্তু ভাতের মাধ্যমে যে এই উপাদানটি আমরা প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারি তা জানি না। এই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা দরকার। মন্ত্রী আরো বলেন,দেশের মিলাররা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী চিকন চাল তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে থাকে। কারণ গ্রাহক বা ভোক্তা চিকন আর চকচকে চাল পছন্দ করে। তিনি বলেন, গ্রাহকরা জিংক চালের জন্য উৎসাহ দেখান না এবং কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহী হন না। কারণ জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাল একটু মোটা হয়ে থাকে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বছরে ৪ কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। মিলাররা বলেন চাল চিকন করতে গিয়ে ৪-৫ শতাংশ হাওয়া হয়ে যায়। সে হিসেবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল হাওয়া হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। এটা না করলে বিদেশ থেকে হয়তো চাল আমদানি করতে হতো না। দেশে খাদ্য ঘাটতি হবে না দুর্ভিক্ষও হবেনা। অযথা আতংকিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সচেতন আছি, দেশে পর্যাপ্ত ধান চালের মজুত রয়েছে।কেউ অবৈধ মজুদ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হেসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক মোঃ সাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আহম্মদ, হার্বেস্টপ্লাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম খায়রুল বাশার,খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন,গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন (গেইন) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার, পোর্টফলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ,মিলার প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন এবং কৃষক প্রতিনিধি আইয়ুব নবী বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বায়োফর্টিফাইড জিংক রাইস উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১১ জন কৃষক, ৩ জন রাইস মিলার ও ১০ জন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top