All Menu

জলবায়ু কর্মকৌশল প্রণয়নে যুব ও তরুণদের প্রধান ভূমিকা রয়েছে

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে সারা বিশ্বে এক ভয়াবহ বাস্তবতা বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য । কিন্তু এই প্রতিকূলতা আমাদের উদ্ভাবনী টেকসই সমাধানগুলো অন্বেষণ করার জন্য এক বিশেষ দ্বার উন্মোচন করেছে। তাই এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এই দেশের তরুণদের যথাযথ নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। সবার জন্য অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য গোটা তরুণ সমাজের নেতৃত্বে উপযুক্ত জলবায়ু কর্মকৌশল প্রণয়নে বাংলাদেশি যুব ও তরুণদের প্রধান ভূমিকা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ঢাকা ক্লাইমেট টক ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। উদাহরণস্বরূপ খুব সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত হারে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়েই চলছে। এই সমস্যার সমাধান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এসব দুর্যোগ দেশের দরিদ্রদের বেশিরভাগ প্রভাবিত করছে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে আমাদের কৃষি খাতে। দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে সম্পদের ক্ষয় ক্ষতি কমাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে উল্লেখযোগ্য সৃজনশীল সমাধান রয়েছে। বিশেষ করে ভৌগোলিক অবস্থান, ভাষা এবং তার এলাকায় বিদ্যমান জলবায়ু ঝুঁকির প্রকৃতি বিবেচনা করে তরুণরা প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি উপযুক্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে পারে। এছাড়াও টেকসই প্রকৃতি-ভিত্তিক জলবায়ু সংকটের সমাধানের জন্য ‘সবুজ উদ্যোক্তা’ হিসাবে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে। প্রয়োজনানুসারে এমন সিস্টেম নিয়ে আসা যেতে পারে যা আবহাওয়ার আরো ভালো পূর্বাভাস দিতে পারে। আমি নিশ্চিত যে তরুণরা এই সমস্যাগুলো মোকাবেলায় ডিজিটাল পদ্ধতি এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। এভাবেই আমরা দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন চালিয়ে যেতে পারব বলে আশা করি। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আরেকটি বড় সমস্যা হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দুর্যোগ তাদের জীবনকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রকৃতি-বান্ধব ব্যবসা এবং জীবনধারার জন্য উদ্যোগ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ঝুঁকি মোকাবেলায় জনগণ নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে । অভিযোজনের জন্য প্রাথমিক প্রয়োজন হলো সঠিক লোকায়িত জ্ঞান ও বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে আমাদের তরুণদের নেতৃত্বের ভূমিকা থাকা। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তরুণরাই প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top