ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল হত্যার দায় জিয়াউর রহমানের। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে জিয়া ও তার মদতপুষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। এতে বাদ যায়নি ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলও। প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি বলেন, জন্মদিন আমরা সাধারণত আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে থাকি। জন্মদিনে নানা রঙের বেলুন উড়ানো হয়, শিশুরা গাইতে থাকে। কিন্তু শেখ রাসেলের জন্মদিন পালনের সময় আমরা বেদনায় নীল হয়ে যাই। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনা করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন বিনয়ী, অতিথি পরায়ণ, বন্ধুবৎসল, ত্যাগী, সামাজিক এবং শিক্ষকের নিকট প্রিয় একজন শিশু। জাতীয়ভাবে শেখ রাসেল দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এরকম একজন প্রাণবন্ত, নির্মল ও নির্ভীক শিশু সম্পর্কে জানানো, যাতে তারা তার জীবন ও আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে, নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।