All Menu

বিএনপির ‘৩০ আসন’ এর বক্তব্য তাদের বেলাতেই প্রযোজ্য

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বিএনপির ‘৩০ আসন’ এর বক্তব্য তাদের বেলাতেই প্রযোজ্য, ইতিহাস এর সাক্ষী।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইউল্যাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকরা শুক্রবার গাজীপুরে বিএনপি মহাসচিবের দেয়া বক্তব্য ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ২০০৮ সালে দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। ভাগ্যের এমনই নির্মম পরিহাস, বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছিল, ৩০টি পূর্ণ করতে পারেনি। সুতরাং মির্জা ফখরুল সাহেব যে কথাটি বলেছেন, সেটি বিএনপির বেলাতেই প্রযোজ্য।’ ‘আগামীতে যে নির্বাচন হবে, আওয়ামী লীগ আবারও ধস নামানো বিজয় অর্জনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলেন মন্ত্রী। ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা স্বপ্ন দেখতে পারেন, স্বপ্ন দেখতে দোষ নেই। তবে এই স্বপ্ন তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন, কারণ এটি কখনো বাস্তবায়িত হবে না।’ আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমন ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়, তখন চলতি সরকার যেমন নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
‘বিএনপি রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি না’ এ প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো সংঘাত চায়। তারা রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মুন্সিগঞ্জে নিজেদের কর্মীকে নিজেরা মেরেছে, ভবিষ্যতেও মারবে এবং সরকারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে। তারা তো এই রাজনীতিই করে। ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা তো তারাই করেছিল। আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া সাহেবকেও তো তারাই হত্যা করেছিল’।
ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিএনপির তারা তো হত্যার রাজনীতিই করে। জিয়াউর রহমানও তো হত্যার মাধ্যমেই ক্ষমতা দখল করেছিল। আর বেগম জিয়াও কম যাননি। তারা আসলে সংঘাতময় রাজনীতি করে, সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ সেটি হতে দেবে না’।
স্বপ্ন আর প্রচেষ্টাই জীবনযুদ্ধে জয়ের চাবিকাঠি : শিক্ষার্থীদেরকে ড. হাছান মাহ্‌মুদ
শনিবার ইউনিভার্সিটি অভ্‌ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর অষ্টাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ড. হাছান মাহমুদ।
বিশ্ববিদ্যালয় মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কারখানা হিসেবে বর্ণনা করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, জীবন একটি যুদ্ধক্ষেত্র, উজান ঠেলে পাড়ি দেওয়া, স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে চলা। যারা জীবনকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে নেবে তারা জীবনে জয়ী হতে পারবে। জীবন চলার পথে অনেক প্রিয়জনকে হারাতে হতে পারে, খানিক থমকে গেলেও যুদ্ধ বন্ধ করা যাবে না।
ড. হাছান মাহ্‌মুদ এসময় ভারতের প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামকে উদ্ধৃত করে বলেন, জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে যেমন স্বপ্ন থাকতে হবে, তেমনি স্বপ্নের সাথে যুক্ত করতে হবে প্রচেষ্টা। ঘুমিয়ে স্বপ্ন নয়, যে স্বপ্ন ঘুমুতে দেয় না সেই স্বপ্ন আর প্রচেষ্টা মিলে এক ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স তৈরি হবে, যা মানুষকে জীবনে জয়ের পথে এগিয়ে নেবে।
বিশ্ববরেণ্য শিল্পী লতা মুঙ্গেশকর, তথ্যপ্রযুক্তির কিংবদন্তি স্টিভ জবস প্রমুখের উদাহরণ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বলেন, জীবন সংগ্রামে ধর্ম-বর্ণ-চেহারা নয়, অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর অধ্যবসায়ই বিজয়ের চাবিকাঠি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এমপি বিশেষ বক্তা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আনিস আহমেদ স্বাগত বক্তার বক্তব্য দেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটেন তারা।
সমকাল ও চ্যানেল আই কার্যালয়ে তথ্যমন্ত্রী
শনিবার দৈনিক সমকাল পত্রিকার ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ২৪তম বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান দু’টির কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top