ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেশন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম’ দূর হচ্ছে। ২০০৯ সালের পর থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় প্রশাসনিক কাজ কর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। লাল ফিতায় এখন আর ফাইল চলে না, ফাইল চলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শুদ্ধাচার, এপিএ, উদ্ভাবন ও শ্রমসাধ্য কাজের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, আপনারা যত বেশি উদ্ভাবনী হবেন সরকার তত বেশি ডিজিটাইজেশনে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা, যোগ্যতা ও সাহস আপনাদের রয়েছে। তিনি ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। মন্ত্রী এসময় দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণে অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে সংস্থা পর্যায়ে বিটিসিএল, সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেডকে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে আকস্মিক, কঠোর শ্রমসাধ্য ও কৃতিত্বপূর্ণ বিশেষ ধরনের কাজের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২৭জন কর্মকর্তা -কর্মচারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব পুরস্কার ও সম্মাননা হস্তান্তর করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।