ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, সরকার ও রাবার খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজন নিবিড়ভাবে কাজ করলে রাবারের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশীয় প্রাকৃতিক রাবার ব্যবহারের রাবার-ভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়বে। বুধবার চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের আয়োজনে ১ম প্রাকৃতিক রাবার ও রাবার-ভিত্তিক শিল্প-পণ্য মেলা, ২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন অনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ হারুন ও ওয়েল-কাস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হাসনাইন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার রাবার ও রাবার-ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জাতীয় অর্থনীতিতে রাবার শিল্পের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ খাতের উন্নয়ন হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী যেমন উপকৃত হবে, তেমনি বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা পালন করবে। রাবার চাষের মাধ্যমে নারী-পুরুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান সম্ভব। বাগানের গাছের পরিচর্যা, টেপিং, ল্যাটেক্স হতে রাবার শিট তৈরি করার কাজে ফ্যাক্টরিতে পাহাড়ি-বাঙালি নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাদা সোনা’ নামে খ্যাত রাবার গাছ শুধু যে মূল্যবান রাবার উৎপন্ন করে তা নয়। এ গাছগুলো প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্য যেকোনো গাছের চেয়ে তুলনামূলক-ভাবে অনেক বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। রাবার চাষ যেমন অর্থনীতি বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, তেমনি পরিবেশ রক্ষায় সমান অবদান রেখে যাচ্ছে। রাবার বাগান জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণীর বিচরণের ক্ষেত্র হিসেবেও ভূমিকা রাখে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।