All Menu

শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশে মানবাধিকারের সুরক্ষা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সরকারে মানবাধিকারের সুরক্ষা একমাত্র শেখ হাসিনাই করেছেন। সাংবিধানিকভাবে যার যে আইনগত অধিকার সেটা তিনি নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকারের লঙ্ঘন যারা করেছে তাদের বিচার করা যাবে না এই আইন অন্যরা করেছে। তাই শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশে মানবাধিকারের সুরক্ষা। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘রক্তাক্ত আগস্ট ও মায়ের কান্না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা মাঠে নেমেছেন। তারা বলেন মানবাধিকার সাংঘাতিকভাবে লঙ্ঘন হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল ১৯৭১ সালে। ত্রিশ লাখ মানুষকে হত্যা করা, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নেয়া, জোর করে ধর্মান্তরিত করা, দেশ ত্যাগে বাধ্য করা ছিল মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন। সেই লঙ্ঘনকারীদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন করেছেন বঙ্গবন্ধু। এরপর সবচেয়ে বড় মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় বিচার শেখ হাসিনার হাতে হয়েছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, ১৯৭১ সালে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে জঘন্য অপরাধ করেছে তাদের বিচার শেখ হাসিনা করেছেন। দেশের রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী, শিশু পুত্র ও অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অন্যদের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এদেশে দ্বিতীয়বার মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল। সেটার বিচার শেখ হাসিনার হাতে হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার বিচার শেখ হাসিনার হাতে হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনার হাতে হয়েছে। দেশে যত বড় বড় রাজনৈতিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, তার বিচার শেখ হাসিনার হাতে হয়েছে। ১৯৭৯ সালে যেদিন পার্লামেন্টে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এই আইন পাস করা হয়েছিল সেদিন মানবাধিকারের ফেরিওয়ালাদের ভূমিকা কি ছিল? শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দেওয়া হবে না যেদিন এই সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছিল সেদিন এদেশে মানবাধিকারের কথিত ফেরিওয়ালাদের ভূমিকা কি ছিল?-প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী। মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সত্য উদঘাটনের ধারাবাহিক যোগসূত্রে দেখা যায় জিয়াউর রহমান পূর্বাপর সবকিছুর সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিশিয়ারিও তিনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশের বাইরে ১২টি হাইকমিশনে চাকরি দিয়েছেন। খুনিদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছেন। এভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করার আইন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক স্বদেশ রায়, লেখক ও গবেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ নবী নেওয়াজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির এবং লেখক ও গবেষক নিঝুম মজুমদার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top