পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে। এই অনুদান ইউএসএআইডি-এর ক্লিমএক্ট প্রকল্পের আওতায় ব্যবহৃত হবে, যা বাংলাদেশে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল পথ অনুসরণে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (NAP) এবং জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (NDC) বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি মূলত তিনটি ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দেবে: নীতি ও পরিকল্পনা, অর্থায়ন প্রাপ্তি এবং জলবায়ু কার্যক্রমের শাসন ব্যবস্থা। ইউএসএআইডি-এর পরিচালক জোসেফ লেসার্ডের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে বুধবার (২৩অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) এক বৈঠকে মিলিত হওয়ার পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈঠকে ক্লিমএক্ট প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতা ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব বৃদ্ধির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ক্লিমএক্ট প্রকল্প আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, এবং ইউএসএআইডি-এর এই সহযোগিতা আমাদের দুর্বল জনগোষ্ঠী ও পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচেষ্টা আরো জোরদার করবে।
তিনি আরো বলেন, ইউএসএআইডি-এর মতো বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াবে, বিশেষ করে বন্যাপ্রবণ, নদীভাঙন ও উপকূলীয় অঞ্চলে। জোসেফ লেসার্ড বাংলাদেশে পরিবেশগত উদ্যোগে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইউএসএআইডি-এর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জলবায়ু বিষয়ক কার্যক্রমে দেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু সহনশীলতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ ইউএসএআইডি-এর টিম লিডার ব্রনউইন লুয়েলিন, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএ-র ফরেস্ট্রি ও ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট পরিচালক রবার্ট কেনি, উইনরক-এর পরিবেশ ও শক্তি বিভাগের সহযোগী পরিচালক ফিরাস ট্রাইশ এবং কেটি লাজার উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।