All Menu

বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সংগত হতে হবে এবং সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংকট মোকাবিলায় প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু কিছু আর্থিক সমস্যার সমাধান করলেও তাতে প্রকৃত ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না।

উপদেষ্টা রবিবার (২০অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘Road to Baku Cop29-Position of CSOs in Bangladesh on Climate Resilience’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকবে। তিনি অভিযোজন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তরুণদের এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার আহ্বান জানান। এছাড়া, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলার প্রজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। কপ২৯ সম্মেলনের আগে, বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।

সেমিনারে বিভিন্ন সিএসও, জলবায়ু কর্মী এবং নীতি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল কপ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের একটি একক অবস্থান গঠন করা। অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু অর্থায়ন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জলবায়ু সহনশীলতা গঠনে তাদের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে সেমিনারে আলোচনা হয়।

কপ২৯ সম্মেলনে জোরালোভাবে এডভোকেসির আহ্বান জানানো হয়, যাতে বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বর শোনা যায়। উপস্থিত প্রতিনিধিরা আশা প্রকাশ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সহনশীলতা গঠনে বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

এসময় ড. আবদুল হামিদ, মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ড. এস এম মুনজুরুল হান্নান খান, নির্বাহী পরিচালক, NACOM ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top