ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, নৈতিকতা ও সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষা যেন আমরা মানুষের মধ্যে দেই। বাংলাদেশে অনেক সমস্যা, অনেক বৈষম্য, অনেক চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এই সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আমাদের যারা আলেম-ওলামা আছেন তাদের প্রতি সবসময় অনুরোধ করেন গবেষণা করতে। গবেষণার করে আমাদের দ্বীনি ব্যবস্থায় এজমা, কিয়াস, বাহাস করে আমরা যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সরকার। এই লক্ষ্যে সরকার জামিয়া (আলিয়া) মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। শিক্ষামন্ত্রী বুধবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে দেশের ফাযিল/কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখনো আমরা অনেক বেশি অর্থডক্স এবং অপ্রচলিত বা কনভেনশনাল জায়গায় আছি। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি দ্বীনি জ্ঞান অনেক বেশি এগিয়ে নিয়েছেন। সেটা মানুষের অধিকার হোক, জাকাত বা ট্যাক্স কীভাবে দেবে সে ব্যাপারে হোক, এই বিষয়গুলো আরো গবেষণা হওয়া দরকার। মন্ত্রী আরো বলেন, জ্ঞানী লোকরা নানান ধরনের গবেষণালব্ধ ফতোয়া দিয়েছেন। যেনোতেনো ভাবে নয়। এই গবেষণার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি। সে জায়গাতে যারা অধ্যক্ষ রয়েছেন তাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। যারা সমাজে খতিব হবেন, যারা ইমামতি করবেন তারা সমাজের নেতা। তারা শুধু ধর্মীয় নেতা নন, সমাজেরও নেতা। তারা সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন। তাদের মাধ্যমে আমরা নানান বিষয় সাধারণ জনগণকে শেখাতে পারি। সেটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলি, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলি। নিষ্ঠাবান হওয়ার কথা বলি। এক সময় ছিল মসজিদভিত্তিক শিক্ষা দেয়া হতো। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটতে পারিনি। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইমাম সবাই সম্মিলিত উদ্যোগে একসঙ্গে যাতে কাজ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।