মোঃ আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অবিভক্ত ভারতবর্ষের অন্যতম শিক্ষা প্রসারক, রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন এম.এল.এ ও পার্লামেন্টরি সেক্রেটারি কর্মবীর ইদ্রিশ আহমদ মিঞার ৫৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠিত আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে ইদ্রিস আহমদ মিঞা ট্রাস্টের আয়োজনে ৫৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ বেলাল ই বাকী ইদ্রিসী এর সভাপতিত্বে ও আদিনা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: কিরণ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো: জিল্লার রহমান। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের শ্রেষ্ঠ গবেষক হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্ত ড: মো: সফিউর রহমান, মানিকগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক মো: আকরাম আলী, আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের অনার্স সেকশনের প্রতিষ্ঠাতা ইত্তেহাদ তৌহিদুল ইদ্রিসি (কলিন্স), দাদনচক এইচএম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলামত রাব্বানী ও মাওলানা মো: মনিরুল ইসলাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে শিক্ষা, শিল্প ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে প্রয়াত কর্মবীর ইদ্রিস আহমদ মিঞা এর অভূতপূর্ব অবদান এবং তাঁর শিকড় থেকে শিখরে উঠে আসার গল্প সহ প্রয়াত আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন বক্তারা। এসময় উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের জোর দাবীও জানান তাঁরা। উল্লেখ্য, ১৮৯৪ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাদনচক গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পাড়া গাঁয়ে জন্মগ্রহণ করা মরহুম ইদ্রিস আহমদ মিঞা অত্যন্ত সরল মনের অধিকারী ও বিচক্ষণ একজন মানুষ ছিলেন। অন্ধকারে আলোর মশাল হাতে তিনি ছিলেন যেন এক অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে। পাড়া গাঁয়ের মতো এলাকায় শিক্ষার মিটমিটে আলোর মধ্যে শিক্ষার আলোর মশাল হাতে নিয়ে সেই এলাকাকে প্রজ্বলিত করেছেন তিনি। ১৯১০ সালে দাদনচক বেল আফরোজ গার্লস হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুল, ১৯১৯ সালে হেমায়েত মেমোরিয়াল হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুল, ১৯৩৮ মালে দাদনচক ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল, দাদনচক ফজুল হক পিটিআই ও বাংলাদেশের শেষ প্রান্ত ও প্রত্যন্ত অঞ্চল মনাকষার মতো জায়গায় শিবগঞ্জ উপজেলার সাধারণ শিক্ষার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেও ক্ষান্ত না হয়ে উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় একজন সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবেও তিনি রয়েছেন সমাদ্রিত। এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন সময়, প্রেক্ষাপট ও চাহিদার ভিত্তিতে তিনি লিখে গেছেন ইসলাম ধর্ম বিষয়ক গ্রন্থ, গবেষণা-ধর্মী গ্রন্থ এবং কবিতা ও উপন্যাস সহ আরো অনেক লেখনী । প্রতিষ্ঠা করে গেছেন শিল্প প্রতিষ্ঠানও।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।