All Menu

হিজাব পড়ায় ছাত্রীদের সাথে অসদাচরণ: শিক্ষক বরখাস্ত

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় হিজাব পড়ার কারনে তিন ছাত্রীর সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে, ক্লাসের বিষয় বাদে অন্যকোন ব্যক্তিগত ও দলীয় আলোচনার অভিযোগ উঠেছে আশরাফুল আলম নামে এক সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযোগের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। রবিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১.৮ মিনিটে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং-বডির সভাপতি হাফিজুর রহমান এ বরখাস্তের নোটিশ করেন। অভিযুক্ত আশরাফুল আলম একই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুলের দাবী নোটিশের জবাব দেয়ার সাত মিনিটের মাথায় জবাব পৌঁছানোর আগেই গভর্নিং-বডির সভাপতি হাফিজুর রহমান সাময়িক বহিস্কারের নোটিশ প্রদান করেন। গভর্নিং-বডির বরখাস্ত নোটিশ সূত্রে জানা যায়, আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যে জবাব প্রদান করেছেন তা গভর্নিং-বডির কাছে সন্তোষ জনক না হওয়ায় রোববার (১৪ আগস্ট) ১০ নং সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে শিক্ষক আশরাফুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। আরও জানা যায়, গত ২৮ জুলাই সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে। অভিযোগে হিজাব পড়ার কারনে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে, ক্লাসের বিষয় বাদে অন্যকোন ব্যক্তিগত ও দলীয় আলোচনার অভিযোগ উঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারি প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের কাছে গত ৭ আগস্ট লিখিত জবাব চান স্কুল কর্তৃপক্ষ। রোববার ১৪ আগস্ট সকালে ১১ টায় লিখিত জবাব দেন শিক্ষক আশরাফুল। পরে স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ১১.৮ মিনিটেই করা হয়েছে যা জবাব ও সাময়িক বরখাস্তের কপিতে উল্লেখ রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষক আশরাফুল আলম জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে এবং তার জবাব দিয়েছি। কিন্তু জবাব দেয়ার ৭ মিনিটের মধ্যে আমার কাছে সাময়িক বহিস্কারের চিঠি আসে। এটা কি ভাবে সম্ভব। সঠিক তদন্ত বা জবাব না পৌঁছানোর আগেই বহিস্কার। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এর আগে গত ২৬ জুলাই প্রতিদিনের ন্যায় ক্লাস নিতে যাই। এর মাঝে তিন শিক্ষার্থী বোরকা ও হিজাব পড়ে ক্লাসে আসে। এর মাঝে তাদের মুখ পুরো ঢাকা থাকায় তাদের পরিচয় জানতে চাই। হিজাব পড়ে মুখ ঢেকে রাখায় তাদের চিনতে পারছি না বলে প্রধান শিক্ষককে ডেকে দেখায়। কিন্তু পরে বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৌশলে আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি ফাঁদ হিসেবে ওই তিন ছাত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায়। বহিস্কারের বিষয়টি জানতে রবিবার (১৪ আগস্ট) রাতে সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং-বডির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এসময় সাংবাদিক পরিচয়ে ১০ মিনিট পর ফোন দিতে চেয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top