মেক্সিকো, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় ভারতীয় দূতাবাস এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ (জিটিআইসিসি)-এর সাথে প্রথমবারের মতো সম্মিলিতভাবে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্ম বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। উক্ত আয়োজনটি মোট তিনটি পর্বে বিভক্ত ছিল। গত ১২ মে ২০২২ তারিখে রবীন্দ্র-নজরুল গবেষক নির্মল কান্তি ভট্টাচার্য কর্তৃক ‘নান্দনিকতায় ভারত-বাংলাদেশ পেরিয়ে রবীন্দ্র-নজরুল’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই জন্মবার্ষিকীর প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় যা প্রায় ৭০০০ হাজার দর্শক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপভোগ করে। মেক্সিকোতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ডঃ পঙ্কজ শর্মা ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম গত ২২শে মে ২০২২ তারিখে রবীন্দ্র-নজরুল প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুভ সূচনা করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রদূত মহোদয়গণ তাদের বক্তব্যে বাঙালি সাংস্কৃতির চিন্তা-চেতনা-মনন ও দর্শনে রবীন্দ্র -নজরুলের লেখনির অবদানসহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের লেখনীর প্রভাবসমূহ তুলে ধরেন ।সাংস্কৃতিক পর্বে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের নবীন গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন সাথীর রবীন্দ্র সঙ্গীত উপস্থাপনা আমন্ত্রিতদের বিমোহিত করে। তাছাড়া, আর্নেস্ট দেলা তেজা এবং ভেরণিকা- দুইজন মেক্সিকান নৃত্যশিল্পী ‘দূর দ্বীপবাসীনি’ ও ‘রাঙামাটির পথে লো’ দুটি নজরুল সংগীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে। ভারতীয় দূতাবাসের রুপেশ কুমারের বাঁশীর সুর, রবীন্দ্র সংগীত ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ -এর সাথে প্রিয়া দ’-এর নৃত্য এবং জিটিআইসিসি র’ শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর তবলা ও সিতার বাদন উপস্থিত দর্শকদের নিকট প্রশংসিত হয় । সেইসাথে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় যা বাংলাদেশ ও ভারতসহ স্থানীয় প্রায় ৭০০০ দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে।
রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীর সর্বশেষ পর্বটি গত ২৬ মে ২০২২ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বাংলাদেশের নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল-এর নজরুল সঙ্গীত পরিবেশনা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে । সেইসাথে, ভারতের সোমা গিরির নৃত্য, প্রকৃতি দত্ত ও দিশারী চক্রবর্তীর সংগীত মূর্ছনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ (জিটিআইসিসি)-এর পরিচালক ডঃ শ্রীমতি দাস এবং মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর শাহানাজ আখতার রানু রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসবের পর্ব তিনটি সঞ্চালনা করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।