All Menu

সরকার দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেছে

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে সাংস্কৃতিক সম্পদ ও বৈচিত্র্য রক্ষায় ম্যান্ডেট অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তথা সাংস্কৃতিক সুরক্ষায় যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেছে এবং বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অর্থায়নে মোগল আমলে নির্মিত লালবাগ দুর্গের ঐতিহাসিক হাম্মামখানার সংস্কার-সংরক্ষণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বুধবার রাজধানীর লালবাগ দুর্গ মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Ambassadors Fund For Cultural Preservation (AFCP) প্রোগ্রামের অর্থায়নে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত Restoring, Retrofitting and 3D Architectural Documentation of Historical Mughal Hammam of Lalbag Fort শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। প্রকল্পটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের পরামর্শক ও সংরক্ষণ স্থপতি প্রফেসর ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ। প্রধান অতিথি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হাম্মামখানার পাশাপাশি বেশকিছু ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংস্কার-সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে অবস্থিত বড় সরদার বাড়ি দৃষ্টিনন্দনভাবে সংস্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মাধ্যমে সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক পানাম সিটির সংস্কার-সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, ডকুমেন্টেশনের কাজ চলমান রয়েছে। এটি সফলভাবে সমাপ্ত হলে দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কার-সংরক্ষণে একটি মাইলফলক অর্জিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রসার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকার। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য, এক লাখ পঁচাশি হাজার নয়শত তেত্রিশ মার্কিন ডলার ব্যয়ে সমাপ্ত প্রকল্পটির কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়। প্রকল্পের কাজে পরামর্শক হিসেবে তিনজন বিশেষজ্ঞ ও একটি বিশেষায়িত ফার্ম নিয়োজিত ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top