‘ব্লুম ইনটু দ্যা ফিউচার’ থিম নিয়ে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ২০২৩ প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এটি ব্যাংকটির দ্বিতীয় সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট।
১৭ অক্টোবর ২০২৪ রিপোর্ট উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, ব্র্যাক ব্যাংকের কর্পোরেট ও এসএমই ক্লায়েন্ট, স্টেকহোল্ডার এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এই রিপোর্টটি টেকসই ভবিষ্যতের প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে, যা গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসনের (ইএসজি) ওপর গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্টটি ব্যাংকটির টেকসই কৌশল সম্পর্কে সার্বিক ধারণা প্রদান করে।
সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের আর্থিক খাতে পরিবেশগত দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ হিসেবে ব্যাংকটির অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। স্বচ্ছতা এবং টেকসইতা অনুশীলনের মাধ্যমে দায়িত্বশীল অর্থায়ন, সুশাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতি ফুটে উঠেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের টেকসই এজেন্ডা প্রকাশ এবং টেকসইতা নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের ব্যাপক প্রশংসা করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমি বাংলাদেশে এমন এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি, যেখানে শহুরে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে কৃষি পরিকল্পনা, যেমন সবুজ অর্থায়ন, সার্কুলার ইকোনমি প্র্যাকটিস এবং টেকসই প্রযুক্তির মতো উদ্ভাবনী সল্যুশনে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সবুজ অর্থায়ন বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের গৃহীত উদ্যোগগুলো অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠান সবুজ অর্থায়ন এবং টেকসই অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চায়, সেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি আদর্শ মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।”
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সাসটেইনেবিলিটি বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশের সংস্কৃতির প্রসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়ে নূরুন নাহার বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি রেটিং শুধু একটি ব্যাংকের পারফর্ম্যান্সের পরিমাপকই নয়, বরং তা দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংকটির নেওয়া নানান উদ্যোগ, যা অর্থনৈতিক অগ্রগতি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়গুলোও তুলে ধরে। বাংলাদেশ ব্যাংকে আমরা বিশ্বাস করি, একটি শক্তিশালী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ব্যাংকিং প্র্যাকটিসে টেকসইতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।”
মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, “আধুনিক ব্যাংকিং জগতে টেকসইতা এখন আর শুধু একটি পছন্দই নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও। বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়- উভয় ক্ষেত্রেই টেকসই ব্যাংকিং প্র্যাকটিসের প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পেরে ব্র্যাক ব্যাংক গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আর্থিক খাতকে অবশ্যই মানুষ, পৃথিবী এবং দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধির উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে। আমাদের এই রিপোর্টে সাসটেইনেবিলিটি বিষয়ে আমাদের ব্যাংকের উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “আমাদের রিপোর্টটি মূল্যবোধ-ভিত্তিক, দায়িত্বশীল এবং টেকসই ব্যাংকিং প্র্যাকটিসের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। সামাজিক এবং পরিবেশগত বিষয় বিবেচনা করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রসারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের রিপোর্টের এই বছরের থিম ‘ব্লুম ইনটু দ্য ফিউচার’ একটি সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন, যেখানে টেকসইতা এবং আর্থিক সমৃদ্ধি পাশাপাশি অবস্থান করে। আমরা শুধু একটি ব্যাংক হিসেবেই বড় হচ্ছি না, বরং আমরা একটি বৃহৎ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যতকেও নতুন রূপ দিচ্ছি।”
নিচে দেওয়া লিংক থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টটি পড়া এবং ডাউনলোড করা যাবে: https://www.bracbank.com/download/BRAC-Bank-Sustainability-Report-2023.pdf
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।