All Menu

নোয়াখালীতে বৃদ্ধার পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালীর কবিরহাটে এক বৃদ্ধা নারীর পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
নিহত ফিরোজা বেগম (৭৫) উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়ের বাড়ির মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের স্ত্রী। শনিবার (২৯ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়ের বাড়ির পুকুর পুকুর পাড় থেকে পুলিশ এই মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, শুক্রবার (২৮ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) দিনগত রাতে ওই বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফিরোজা বেগম স্বামীর ঘরে একা থাকতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ফিরোজা বেগম নিজ শয়ন কক্ষে একা ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহ ঘুম থেকে উঠলে মায়ের ঘরের দুটি দরজা খোলা দেখেন। পরে তাকে তার এক ভাগনে জানান তার মায়ের বসত ঘরের সিঁধ কাটা রয়েছে। পরবর্তীতে বসত ঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ভিকটিমের পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ভিকটিমের এক নাতি তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহকে বিষয়টি জানান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা সব সময় হাতে দুটি স্বর্ণের বালা,গলায় হার, কানে দুল ও হাতে দুটি স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই স্বর্ণালংকার লুট করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বজনদের দাবি কানের একটি দুল কান থেকে নেওয়ার সময় তার কানেও রক্তাক্ত জখম হয়। মরদেহের সাথে বৃদ্ধার ব্যবহৃত কোনো স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। স্বর্ণের লোভেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুময়ান কবির বলেন, বৃদ্ধার পা বাঁধা ও মুখে রক্ত ছিল। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি একটি হত্যাকাণ্ড প্রতিয়মান হচ্ছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top