ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অকাট্য প্রমাণ থাকার পরও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে- ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেগুলো মিথ্যা এবং বলা হচ্ছে সরকার তাকে হয়রানির জন্য এটা করছে। এইসব অভিযোগ সত্য না। তিনি বলেন, সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানির জন্য কিছু করছে না। সরকার কোনো মিথ্যা মামলাও করেনি। শ্রম অধিদফতরের তদন্তে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় শ্রমিকদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে মামলা করেছে। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে সবাইকে আইনের মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আনিসুল হক বলেন, ২০১৭ সালে শ্রমিকরা তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে ও ন্যায্য প্রাপ্যতা দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে শতাধিক মামলা করেন। পরে নায্য প্রাপ্যতা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা এই মামলা প্রত্যাহার করে। কিন্তু শ্রম অধিদফতরের কাছে মনে হয় যে, শ্রমিকরা যে অভিযোগ করেছে; তাতে ওই প্রতিষ্ঠানে শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সেই কারণে তারা তদন্ত করে এবং শ্রম দফতরের তদন্তে শ্রম অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার একাধিক ঘটনা উঠে আসে। এরপর শ্রম দফতর মামলা করেছে। তিনি বলেন, ‘এই মামলার বিষয়ে ড. ইউনূস হাইকোর্টে এবং আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন যে, এই মামলা চলতে পারে না। দুই জায়গা থেকেই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। এর অর্থ হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলা পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর আর কিছু বলার থাকে না।’ আইনমন্ত্রী বলেন, এখন যে বলা হচ্ছে, সরকার তাকে হয়রানি করছে, শ্রমিকরা মামলা করেনি; এগুলো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর ফাঁকির বিষয়ে ড. ইউনূস আপিল বিভাগ পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তিনি হেরেছেন এবং ১২ কোটি টাকা কর পরিশোধ করেছেন। কেউ ফাঁকি না দিলে কোটি কোটি টাকা পরিশোধ করে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।