ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: জেলার চাটখিলে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ করেছে পরিবার। নিহত শিশুর নাম পেহা আক্তার (৭)। সে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিল। সোমবার (২৭ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) সকালে নিহত শিশুর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে রবিবার (২৬ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) রাত ১১টার সময় উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর পাড় থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর মামা মো.ফাহাদ বলেন, পেহা রবিবার (২৬ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) দুপুর থেকে তার বাবাকে বাড়িতে না দেখে খোঁজাখুজি করেন। ওই সময় তাদের বাড়ির পাশে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন চলছিল। পেহা সেখানে গিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করে। পরবর্তীতে দুপুর ২টার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এরপর তার বাবা বাড়িতে এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে এক ব্যক্তি জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পেহার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে এটাকে হত্যা মনে হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। সোমবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। অপর এক প্রশ্নে ওসি এমদাদুল হক বলেন, ভিকটিমের মাথার এক পাশে ফোলা জখমের চিহৃ রয়েছে। চোখের ডান পাশে এবং কান ও চোখের মাঝামাঝি জায়গায় গভীর কাটা জখম আছে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।