All Menu

প্রতারণার মামলায় বিউটি এবং রেজার ১০ বছরের কারাদণ্ড

আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ সহায়তা দেয়ার নামে প্রতারণার আলোচিত দুটি মামলার ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি মামলার রায়ে প্রতারক সিন্ডিকেটের প্রধান রেজাউল ইসলাম রেজা ও বিউটি খাতুনকে ৫ বছর করে অর্থাৎ ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলার অন্য তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবির রবিবার এ রায় ঘোষণা করেন। খালাস পাওয়া তিন আসামিরা হলেন, ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, দণ্ডপ্রাপ্ত রেজার সহযোগী মো. কাবির ও বিউটির মা সেমালি বেগম। এর আগে বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য রবিবার দিন ঠিক করে। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীর আইনজীবী ড. মো. তসিকুল ইসলাম। তিনি রায়কে বিচার বিভাগের জন্য একটি মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন। এই আইনজীবী বলেন, আসামিরা অনেক প্রভাবশালী তারা অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যাওয়া বহু চেষ্টা করেছেন। এ রায়ে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে। প্রতারণার আলোচিত ঘটনা হওয়ায় গণমাধ্যম-কর্মী ও স্থানীয়দেরও আগ্রহ ছিল এ রায় নিয়ে। তারাও যুগান্তকারী এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের চরমোহনপুর এলাকার মো. কালাম ও দক্ষিণ চরাগ্রামের রুবেল আলী বাদী হয়ে সদর আমলী আদালতে মামলা করেন। মামলার আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ সহায়তা দেয়ার নামে কৌশলে অর্ধশত মানুষের প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসামিরা নিজেদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাতা সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। অতঃপর মসজিদে নিয়ে মহান আল্লাহর নামে হলফ করিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তার অর্থের শেয়ার হোল্ডার হওয়ার প্রস্তাব দেয়। আসামিরা বলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশি হত-দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। তবে সেই টাকা ছাড় করতে ২ শতাংশ হারে ভ্যাট লাগবে। তারা ভুক্তভোগীকে প্রলোভিত করে যদি ২ শতাংশ ভ্যাটের শেয়ার হোল্ডার হয় তাহলে রাতারাতি বড় লোক হয়ে যাবেন। এমন প্রলোভন দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. মো. তসিকুল ইসলাম জানান, প্রতারণার দুটি মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনিত অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী সাব্যস্ত করে দুজনকে ৫ বছর করে অর্থাৎ ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top