All Menu

ফসলি জমি রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফসলী জমি রক্ষায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রফিকপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত। বৃহস্পতিবার বিকালে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে ধ্বংস করার অভিযোগ মোশারফ হোসেন দিদারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত দিদার ওই এলাকার মৃত কবীর আহমেদের পুত্র। সূত্র জানায়, অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন দিদারসহ একটি ভুগ্রাসীচক্র দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষের কাছ থেকে অল্প-মূল্যে ফসলী জমির উপরিভাগ ক্রয় করে বিভিন্ন ইট ভাটায় সরবরাহ করে আসছিলো। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত জানান, উপজেলার বিভিন্ন ফসলী জমির মাটি ব্যবসায়ীরা ভেকু দিয়ে ১৫/২০ ফুট পর্যন্ত গভীর গর্ত করে মাটি নিয়ে যাওয়ায় পাশের কৃষি জমির মাটিও ভেঙে পড়ছে। গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়ায় কৃষি জমি জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসল উৎপাদন। পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রফিকপুর ৭ নং ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ফসলী জমি ধ্বংস করে মাটি কাটার দায়ে বালু-মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর আওতায় মোশারফ হোসেন দিদার নামের এক ব্যক্তিকে ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, ফসলি জমির উপরিভাগের ছয় থেকে আট ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান থাকে। সেই মাটি কাটা হলে জমির জৈব উপাদান চলে যায়, এতে জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। কৃষি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা: “জমি, নদী, বনভূমি, পাহাড়, প্রাকৃতিক জলাশয় প্রভৃতি রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে”। ফসলী জমি রক্ষায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এই আইন মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসির আরাফাত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top