ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ক্রিকেট খেলার মাঠে কথা কাটাকাটির জের ধরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর করে একটি বাসায় হামলা চালিয়েছে ভাংচুর করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের বসুরহাট এএইচসি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পাভেলের মামা ওমর ফারুক ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন রাজু একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করে। বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বেড়াচ্ছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বসুরহাট পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের মো.আল মোতালেব নিশাতের (১৭) সাথে বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের সাজুর সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বসুরহাট হাইস্কুলের পুকুর ঘাটে নিশাত মুখ দোয়ার জন্য গেলে পুনরায় সাজু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা নিশাতের কাছে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চায়। এতে সে মোবাইল ফোন দিতে অপারগতা জানায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাজুর ভাই বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কিশোর গ্যাং লিডার মাইন উদ্দিন রাজুর নেতৃত্বে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভার বটতলা এলাকায় গিয়ে হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মো.মহন (২০) মো.সাজু (১৯) মো.সম্রাট (২২) মো.রাব্বি (২০) মো. সজিব (২০) মো.আজাদ (২০) মো. সুজন (২০) ও আসিফ (১৯) সহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০জন । পরে তারা বটতলা এলাকার লোকমান কমপ্লেক্সের সামনে এসএসপি পরীক্ষার্থী নিশাতকে বেধড়ক মারধর করে। ওই সময় তাকে বাঁচানোর জন্য তার বন্ধু পাভেল (২২) এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। শেষে তারা লোকমান কমপ্লেক্স নামে একটি বাসায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন নিশাতকে উদ্ধার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন রাজু অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, প্রথমে তারা আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। আমার ভাই এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে নিশাতের উপর হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের মা কামরুন নাহার মুন্নি বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।