All Menu

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ৫ সার ব্যবসায়ীকে ১লাখ টাকা জরিমানা

হেলালী ফেরদৌসী, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কৃষকদের সাথে সার-কীট নাশক নিয়ে কারসাজির কানে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। অভিযান ৫ ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শৈলকূপার কাতলাগাড়ী বাজারে এই অভিযান চালানো হয়। সারুটিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আজাদ কে ১০হাজার টাকা, আবতাব কে ১০হাজার টাকা, সাব ডিলার শোভন কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সার ব্যবস্থাপনা আইন ও ভোক্তা অধিকারে এসব জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া তাদের কে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও বৃহস্পতিবার ভাটই বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মের্সাস নায়েব আলী জোয়ারদার ও মের্সাস নূরুল ইসলাম নামে দুই সার ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। মূলত বিসিআইসি’র সার ডিলারের নীতিমালা ভঙ্গকারী শহরে অবস্থানকারী ৪ডিলারের কারসাজীতেই শৈলকূপা উপজেলা জুড়ে মারাত্মক সার সংকট শুরু হয়, বেড়ে যায় মূল্য, করা হয় মজুদ। একই সাথে রয়েছে সাব-ডিলারদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বা গ্রামে গ্রামে না থাকা। অধিকাংশ সাব-ডিলারই কোন না কোন বড় বাজারে এসে দোকান দিয়ে বসেছে সার-কীটনাশকের। সার নিয়ে তাদের সিন্ডিকেটও সারের বাজার কে অস্থিতিশীল ও কৃষক হয়রানীর অন্যতম কারণ। এ বিশয়ে, গত কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যমগুলোতে এনিয়ে খবর প্রকাশিত হয়ে আসছিল। এবার অভিযানে নামল উপজেলা প্রশাসন। শুরু হয় ভ্রাম্যমান আদালতসহ জেল-জরিমানা। নজরদারী করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল থেকেই শৈলকূপার বিভিন্ন হাট-বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে নজরদারী বাড়াতে থাকে ভ্রাম্যমান আদালত। বাজারের ক্ষুদ্র সার ব্যবসায়ী, সাব-ডিলার ও ডিলারদের গুদাম, দোকান, ডিলার-পয়েন্টসহ তাদের ব্যবসায়ীদের অবস্থানে নজর রাখে। শৈলকূপার সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বনি আমিন এর নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডক্টর মাহফুজুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কৃষি কর্মকর্তা ডক্টর মাহফুজুর রহমান অভিযান প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যারা বাড়তি দামে ইউরিয়া সহ অন্যান্য সার বিক্রি করছে, সার মজুতদারি করছে, বিসিআইসির নীতিমালা ভঙ্গ করছে এমন ডিলার সহ সার কালোবাজারির কোন খবর পেলেই অভিযান চলবে এবং সার ব্যবস্থাপনা আইনে সাজা দেয়া হবে। শৈলকূপায় সার সংকট হবে না বলে কৃষকদের আশ্বস্ত করছেন। কোন দোকান, ডিলার-সাব ডিলারদের কাছ থেকে সার-কীটনাশক কেনার সময় ভাউচার বা ক্রয়-রশিদ না দেয়া হলে কৃষি অফিসে অভিযোগ জানাতে বলছেন কৃষকদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top