ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আন্তঃজেলা চোর চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, আশিকুল ইসলাম(৩০) সে মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চর পূর্বকান্দি গ্রামের মৃত আসলাম মোলার ছেলে,অপর আসামি মামুন মোল্লা (২৮) খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার নিরালা বাজার এলাকার মৃত আরমান মোল্লার ছেলে। রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত শুক্রবার ৫ আগস্ট দুপুর ১২টা ২০মিনিটের দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মাষ্টারপাড়া এলাকার গোল্ডেন প্যালেসের দ্বিতীয় তলার ফাতেমা বেগমের বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। পরে তারা ঘরে থাকা আলমারি ও ওয়াড্রবের তালা ভেঙ্গে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, এক লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়া যায়। ঘটনার পর শনিবার ৬ আগস্ট ভোর রাতের দিকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের বাড্ডা এলাকা এবং ডেমরা এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের তথ্য মতে আসামি আশিকুর ইসলামের ভাড়া বাসা ডেমরা কোনাপাড়া এলাকা থেকে ৪টি স্বর্ণের আংটি, ১ জোড়া কানের দুল,১টি স্বর্ণের চেইন, ১টি লকেট,১ জোড়া রুপার চুড়ি, ২ জোড়া নুপুর, ১টি ব্রেসলাইট, ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল সেট, নগদ ৫ হাজার ৯০০ টাকাসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ১টি রেঞ্জ, ১টি তালা ভাঙ্গার টালী ও ঘটনা কালীন আসামির পরিহিত ১টি শার্ট, ১ জোড়া জুতা, ১টি জিনস প্যান্ট, ১টি ম্যাক্স জব্দ করা হয়। এসপি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিদের পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অন্যান্য চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঢাকা মহানগরী সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন সময় ছাত্র, অতিথি, সার্ভিস ম্যান সেজে বিভিন্ন জেলা ও শহরগুলোতে ২-৩ জনের দলবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে তারা আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় প্রবেশ করে যে সকল বাড়িতে ও প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা-কর্মী থাকে না। সে সকল স্থানগুলোতে চুরি করার জন্য টার্গেট করে। সুযোগ বুঝে তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে তাদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দিয়ে তালা ও গ্রিল কেটে বিভিন্ন অভিনব পন্থায় দ্রুত মূল্যবান মালামাল চুরি করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। তদন্ত-কালে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করে। এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।