ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ সারাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে বৌদ্ধ পল্লী, জনপদ ও বিহারগুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিবিধ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসব চলাকালীন শান্তিশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষে সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধি দল। সেসময় সেনাবাহিনী প্রধান তিন পার্বত্য জেলায় ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবরদান’ উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসবসমূহ পালন করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে এক কোটি টাকার চেক অনুদান হিসেবে প্রদান করেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার, রোয়াংছড়ি উপজেলা, জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধ বিহার ও বান্দরবান সদরের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলার শালবন বৌদ্ধবিহার ও দীঘিনালা এবং রাঙ্গামাটি জেলার সধর্ম বৌদ্ধ বিহার, রিজার্ভ বাজার, রাঙ্গামাটি সদর ও লংগদু উপজেলায় উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ পালিত হয়।
সেনাবাহিনীপ্রধানের দিকনির্দেশনায় এ উৎসব চলাকালীন শান্তিশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়াও আসন্ন মাসব্যাপী ‘কঠিন চীবর দান’ অনুষ্ঠান আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যান্য বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে ধর্মীয় উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।