ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্মরণ কালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে কৃষি, মৎস্য, প্রাণী, যোগাযোগ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উল্লেখ্য যোগ্য। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ছোট বড় অগণিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গুদামের মালামাল বন্যার পানি পচে নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও পানির কারণে গুনগত মান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিক্রির অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী ধার দেনা আর এনজিও ব্যাংক লোনের উপর নির্ভর প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন। এনজিও ব্যাংক লোণের চাপে ব্যবসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে এরকম খবরও পাওয়া যাচ্ছে। বন্যার কারণে অনেক ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে অনেকেই। তাদের ঘুরে দাঁড়াতে হলে প্রয়োজন সহযোগিতা এমন মন্তব্য করেছেন উপজেলার রাস্তার মাথার ব্যবসায়ী “এন কে এন্টারপ্রাইজ” এর বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জামশেদুর রহমান। তিনি বলেন আমি একজন উদ্যোক্তা। নোয়াখালীর সেনবাগ রাস্তার মাথায় এবং জেলা শহর মাইজদী বাজারে “এন কে এন্টারপ্রাইজ” নামে দীর্ঘ দিন থেকে রড, সিমেন্ট, টিন, স্যানিটারি, টাইলস, রং, হার্ডওয়ার সহ যাবতীয় নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা করে আসতেছি এবং নোয়াখালী জেলায় রড সিমেন্ট এর ব্যবসায়ীদের সাথে ডিলারশীপ ব্যবসা এবং মালামাল পরিবহনের জন্য সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা করে আসতেছি। আমার প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে শতাধিক বেকার লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। গত ১৫ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বন্যার প্রাদুর্ভাবের কারণে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, গোডাউনের মালামাল ও আমার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে অনেক গুলো গাড়ী ও গাড়ীতে বোঝাই-কৃত মালামালসহ অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যার প্রাথমিক ভাবে আর্থিক ক্ষতির মূল্যে দুই কোটি টাকার অধিক। যেহেতু আমার অনেক বড় ব্যাংকিং বিনিয়োগ ও গাড়ীর কিস্তি রহিয়াছে। এতে করে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে আমার সামগ্রিক ব্যবসার চলমান অগ্রগতি, ব্যাংকিং লোন, গাড়ীর কিস্তি সহ যাবতীয় বিষয় গুলোকে নিয়ে আমি এবং আমার পরিবার এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সমস্ত কর্মচারীবৃন্দ সহ সকলেই অত্যন্ত দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এমতাবস্থায় অত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বন্যা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সরকারী বিশেষ সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা স্ব স্ব বিভাগে ক্ষতিপূরণের জন্য ইতি মধ্যে আবেদন করেছেন। সরকারী ভাবে এই জন্য যদি কোন বরাদ্দ আসলে যাচাই বাচাই করে তাদের মধ্যে সেটা বণ্টন করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।