ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য কমিশন বাংলাদেশ-এর আয়োজন এবং উদ্যোগে অধিদপ্তর ও সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য সোমবার (১০ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার ৫৮ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, তথ্য অধিকার আইন জনগণকে ক্ষমতায়িত করেছে। মনে রাখতে হবে তথ্য প্রাপ্তি জনগণের সুযোগ নয়, এটি জনগণের অধিকার। প্রতিটি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার যাবতীয় তথ্যাদি সহজলভ্য করে প্রকাশ করতে হবে। সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ সুফল বয়ে আনবে।
প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, আমি এবং আমার শব্দ দুটির পরিবর্তে আমরা এবং আমাদের শব্দ দুটি ধারণ করা হলে অধিকতর স্বচ্ছতা প্রতিফলিত হবে। জনগণের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে সকলকে আইনের বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে তথ্য প্রকাশ করতে হবে। ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। ইতোমধ্যে পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১০১ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আবদুল মালেক বলেন, তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাঁধাগ্রস্ত করলে আইনানুযায়ী শাস্তি পেতে হবে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে তিনি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানান। তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম তথ্য প্রাপ্তির আবেদন, আপিল ও অভিযোগ দায়ের, তথ্য না দিলে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানসহ কোন কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয় এ সকল বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে অবহিত করেন। তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি তথ্য সংরক্ষণ, নথি বিনষ্টকরণ, তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের মাধ্যম প্রভৃতি বিষয়ে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ-এর সচিব জুবাইদা নাসরীন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।