মশাহিদ আহমদ, নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সহকারী কমিশনার (ভূমি), মৌলভীবাজার সদর কার্যালয়ে গড়ে মাত্র ১৭ দিনে নামজারির আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে। নামজারি সেবা প্রদানের সার্বিক চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১৩% বেশি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর খাতে বর্তমান ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এ পর্যন্ত আদায় করা ১,৮৫,০২,২৩৩ টাকা। অর্পিত সম্পত্তির বকেয়া/হাল সনের একসনা নবায়ন ফি আদায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে আদায়ের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত মোট ৬৫৩৯টি নামজারি ও জমা-খারিজ মোকদ্দমার আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। হাট-বাজার পেরীফেরীসহ চান্দিনা ভিটি বন্দোবস্তের উদ্যোগ নেয়ার ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে। চলতি অর্থ বছরে মোট ২৬৭.৬৫ একর সরকারি ভূমি থেকে অবৈধ দখলকার উচ্ছেদ করা হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় ২৬,৭৬,৬৫,০০০ টাকা। সর্বশেষ নদীর চর থেকে মাটি উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক নিয়মিত তদারকির কারণে কমেছে অবৈধ বালু উত্তোলন ও নদীর চর হতে মাটি উত্তোলন। সূত্রে জানা গেছে, নামজারি ও জমা-খারিজ, অর্পিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত ও ইজারা ফি পরিশোধ, হাট বাজারের চান্দিনা ভিটি নবায়ন, সায়রাত মহাল সংক্রান্ত সেবা, খাসজমি বন্দোবস্ত প্রাপ্তিসহ ভূমি সংক্রান্ত নানাবিধ কাজে জনসাধারণ উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সেবা গ্রহণ করে থাকেন। সরকারি ভূমি রক্ষণাবেক্ষণ, মাঠ পর্যায়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা বাস্তবায়ন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ সরকারের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে সারা বছরই ব্যস্ত থাকতে হয়। জনসাধারণকে সহজে ভূমি সেবা প্রদানে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, ই-মিউটেশন, সায়রাত মহাল ইজারা ব্যবস্থাপনা, মাঠ পর্যায়ে বাজেট প্রদান, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাসহ অধিকাংশ কাজে বইছে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া। দ্রুততম সময়ে নামজারি সেবা প্রদানে নামজারি আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ২৮ দিন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা ভূমি অফিসের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া সুলতানা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “উপজেলা রাজস্ব প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের প্রচেষ্টায় জনসাধারণকে দ্রুততার সাথে সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত এক বছরে এই উপজেলার বিভিন্ন বাজার পেরীফেরীসহ চান্দিনা ভিটির সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার ফলে চান্দিনা ভিটির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রভাবশালী মহলের দখল থেকে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে ‘ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে।” সহকারী কমিশনার (ভূমি), মুজিব শতবর্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণীর পরিবার পুনর্বাসনসহ জনকল্যাণমূলক অন্যান্য কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে সন্তোষ ব্যাক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।