রংপুর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: গত কয়েক বছরে পঞ্চগড়ে যেমন চা চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে, তেমনি শিক্ষাক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যাপক উন্নয়ন। ২০০৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ জেলায় ৪৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে নির্মিত হয়েছে। সরকারের শতভাগ প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ নীতি বাস্তবায়নের ফলে গত দুই দশকে পঞ্চগড় জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমান এ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৬৪টি, যা ২০০৩ সালে ছিলো ৩১০টি। পঞ্চগড় জেলায় ২০০৩ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিলো ২৬১টি। বর্তমান এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৫টি। এ জেলায় ২০০৩ সালে কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে ১৯, ৮৬ ও ৭টি। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩৮, ১০৯ ও ৩০টি। ছিটমহল বিনিময়ের পর এ জেলার বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলে নতুন করে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, শতভাগ উপবৃত্তি কার্যক্রম, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ বিতরণ, বিদ্যালয়ে ওয়াশব্লক নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ প্রভৃতি। সরকারের এসব উদ্যোগের কারণে পঞ্চগড় জেলায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পঞ্চগড়ে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ২০০৩ সালে যা ছিলো মাত্র ৪৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০০৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার ছিলো ১৭ শতাংশ। বর্তমান ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে শিক্ষা ছাড়াও কৃষি, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পঞ্চগড় জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।