বিধান দাস, নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: চোখের সমস্যার কারণে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে না পারার দু:খে আল আদিল (১৪) নামে এক কিশোর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানা এলাকার ৪নং বড়গাঁও ইউনিয়নে। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের বড়গাঁও মধ্যপাড়া গ্রামে ওই কিশোরের নিজ শয়ন ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহনন কারি আল আদিল ওই গ্রামের মাহামুদ হাসান মানিকের ছেলে। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানান, গতকাল বুধবার রাতের খাবার খেয়ে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে সে। বৃহস্পতিবার অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন শয়নকক্ষের দরজা খুলে দেখেন ঘরের সরের সঙ্গে দড়ি পেঁচিয়ে সে ঝুলছে। পরে ঝুলন্ত লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। সূত্রে জানা যায়, আল আদিল ছোট থেকেই চোখের সমস্যায় ভুগছিলো। দিনে সামান্য পরিমাণ দেখতে পেলেও রাতে কিছুই দেখতে পারতো না। তার ইচ্ছা ছিলো বড় ভাইয়ের মতো সেও পড়াশুনা করবে। পড়াশুনা করার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তিও হয়েছিলো, কিন্তু চোখের সমস্যার কারণে আর পড়াশুনা করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পরিবারের লোকজন। ভূল্লী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত কিশোরের নিজ ঘরের সরের সঙ্গে দড়িতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে দীর্ঘদিন থেকে চোখের সমস্যায় ভুগছিলো। তার ইচ্ছা ছিলো পড়াশুনার করার, কিন্তু চোখের সমস্যার জন্য পড়ালেখা করতে পারেনি। তাই মান-অভিমানের জেরে সে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।