All Menu

ওমিক্রনের নতুন ধরনের সংক্রমণরোধে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সতর্কতা

আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন বিএফ.৭ প্রতিরোধে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। ভারত থেকে আসা সকল ট্রাক ও তার চাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করাসহ বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ওমিক্রনের এই উপ-ধরন শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। এ অবস্থায় গত রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশের সকল স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতা রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন আরও বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছি। এই মুহূর্তে ব্যাপক আকারে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা রুটিন-মাফিক কাজ চলমান রেখেছে। সীমান্তে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় অস্বাভাবিক কাউকে দেখতে পেলে তার ব্যাপক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, করোনাকালিন সময়ের শুরু থেকেই সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ ও খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। করোনাকালিন পরিস্থিতির উন্নয়ন হলেও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকরণ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে মজুত রয়েছে। সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায়, স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সরঞ্জামগুলো আবারও কঠোরভাবে ব্যবহার করা হবে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাফর ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, করোনাকালিন পরিস্থিতির উন্নয়ন হলেও সোনামসজিদ স্থলবন্দরে যাত্রী আসা-যাওয়া শুরু হয়নি। সীমিত পরিমাণে যেসব লোকজন যাতায়াত করছে, তাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যথাযথ নির্দেশনা অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চীন ও ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন উপ-ধরনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। জেনেটিক সিকোয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব দেশে ওমিক্রন বিএফ.৭ উপ-ধরনের কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশসমূহে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন বিএফ.৭ অত্যন্ত সংক্রামক। এর সংক্রমণ রুখতে এবং দেশের জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য দেশের নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। এমতাবস্থায় এসব দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top