ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া ৫৮ হাজার নিয়োগের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন করেছেন চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন শতাধিক চাকরি-প্রার্থী। এরপর তারা জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। একই দাবিতে ঢাকা, রংপুর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রার্থীরা মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে চাকরি-প্রার্থীরা ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবি গুলো হলো,
১) শুন্যপদের বিপরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ প্রদান।
২) বিদায়ী সচিব স্যার বিবিসি বাংলায় সাক্ষাৎকার দিয়ে ৫৮০০০ নিয়োগের কথা বলেন কিন্তু বর্তমানে আবার ৩২৫৭৭ জন নিয়োগ দিতে চাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
৩) মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ৪৫০০০ নিয়োগের কথা বলেন যা সময় নিউজ এবং ডিবিসি নিউজে প্রকাশিত হয়।
৪) প্রাথমিকের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী প্রতি তিন জনে ১ জন নিয়োগ দেয়া হয় এবং সেই অনুযায়ী প্রায় ১৫২০০০ এর মত প্রার্থী ভাইবার জন্য বাছাই করা হয়। কিন্তু ৩২৫৭৭ জন নিয়োগ দিলে তা হবে প্রতি ৫ জনে ১ জন।
৫) সার্কুলারের ৯ নং এ উল্লেখ ছিল সকল শুন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ হবে। বর্তমানে শুন্যপদ ৬০ হাজারের বেশি।
৬) ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ১ শিফটে চলবে বলে আমরা বিদায়ী সচিব থেকে জানতে পারি। সেক্ষেত্রে পাঠদানের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগের প্রয়োজন। ফলে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ হলে প্রাথমিকের পাঠদান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
৭) বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার উপর যে গুরুত্ব দিয়েছে সেটির বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ অতীব জরুরি। এর ফলে প্রাথমিকে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
সাব্বির রহমান সাহেদ নামের আরেক চাকরি-প্রার্থী বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০-এর অনুমোদিত পদ-সংখ্যা ৩২ হাজার ৫৭৭টি হলেও চলতি বছরের মার্চে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে আমরা যখন চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায়, তখন আবার বলা হচ্ছে, বেশি প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হবে না। এটা বেকারদের সঙ্গে অন্যায়। আসিফ আহমদ নামের এক চাকরি বলেন, প্রাথমিকে বিগত নিয়োগ গুলোতে ৩ জনে একজন নিয়োগ হয়েছে। আমরা চাই এবারও সেই নিয়ম বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো বৈষম্য যেন না হয়।
মানববন্ধনে সাইফুল ইসলাম, আইমান তাওফিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।