ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় নোয়াখালীতে সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই কথা জানানো হয়। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ৭ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী উত্তাল থাকায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ-চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী নির্দেশনার আলোকে মাইকিংয়ের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় হাতিয়াতে ২৪২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৩ হাজার ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে ৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত। অর্থাৎ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ৭-৮ ফিট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, নোয়াখালীর হাতিয়া,সুবর্ণচর,কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহিৃত করেছে। ৩লাখ লোক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৪০১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেডিকেল টিম ১০১টি ও ২শত ৫০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫লক্ষ টাকা, বিস্কুট ৭শ কার্টুন মজুত রাখা হয়েছে। একটি কন্ট্রোল-রুম চালু করেছে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।