All Menu

রেললাইন ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

হেলালী ফেরদৌসী, নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ঝিনাইদহ জেলা শহরে রেললাইন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়নের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রেল লাইন ও মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে রবিবার (২৫শে সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা সৈনিক নন্দ দুলাল শাহা এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন,প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী (অব:)অধ্যক্ষ এম.শাহাজালাল আহমেদ, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও (অব:)অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু,ইসলামি ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক শামীম আহম্মেদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ফুড সেফটি মুভমেন্ট এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মোঃ ইউনুছ আলী,ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক ও ঝিনাইদহ সাংবাদিক ইউনিয়ন(ঝিইউজে)’র সভাপতি শামীমুল ইসলাম শামীম,সাংবাদিক শারমিন আরা,পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর বুলবুলি ও আন্জমআরা,সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম পিন্টু ও নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ফুড সেফটি মুভমেন্ট এর ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ও ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স লিমিটেডের সহ-সভাপতি মোঃ নাসিম উদ্দিন। মানববন্ধনে (অব:)অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু বলেন,ঝিনাইদহ শহরে রেল যোগাযোগ না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়ক পথের উপর নির্ভরশীল। সরকার মাগুরা পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই রেল লাইনটি ঝিনাইদহ শহর পর্যন্ত বিস্তৃত করে সরকার ঝিনাইদহ শহরকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পারে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য সাঁটল ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। এরই আদলে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ হয়ে কালিগঞ্জ পর্যন্ত রেল পথ তৈরি করতে হবে। যার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহজেই ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে এবং কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের সাথে বিভাগীয় শহর খুলনার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। বক্তারা বলেন,ঝিনাইদহ বাসীর প্রাণের দাবি রেলপথ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলাটি। মুক্তিযুদ্ধ,শিক্ষা-সংস্কৃতিতে গৌরবের ইতিহাস ধারণ করছে ঝিনাইদহ। প্রতিটা সরকার ঝিনাইদহে উন্নয়নে নজর দিলেও বেশ কিছু অপূর্ণতা রয়েছে এ জেলার মানুষদের। জেলাটিতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও রেলপথ স্থাপন যেন প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।সরকার ইতিমধ্যে যশোর থেকে চৌগাছা, মহেশপুর ও জীবননগর হয়ে দর্শনা পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি উপজেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বর্ডারে (দৌলতগঞ্জ- মাইজদিয়া) একটি স্থল বন্দর তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন। ফলে জীবননগরের রেলপথ ভারতের সাথে আমদানি রপ্তানি কাজে ব্যবহার করা যাবে এবং দ্রুত সময়ে পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো যাবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রেললাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন,সরকার যশোর-ঝিনাইদহ হাইওয়ে ৬ লেনে উন্নতকরণ করবে যার মাধ্যমে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে বেনাপোল, ভোমরা ও মংলা বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। এছাড়া পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেল পথ নির্মাণ শেষ হলে মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টায় ঢাকা থেকে খুলনা আসা যাবে। এই রেল পথ নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে হবে ঝিনাইদহ ও বৃহত্তর কুষ্টিয়াকে, ফলে খুব সহজেই মানুষ রাজধানী থেকে এই জেলা শহরগুলোতে আসতে পারবে বলে বক্তারা জানান। সরকার দ্বিতীয় পদ্মা সেতু (দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া) তৈরি করলে রাজবাড়ী হয়ে ঝিনাইদহ পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করে পরবর্তীতে অতি সহজেই বৃহত্তর যশোর কুষ্টিয়ার মধ্যে রেলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে পারবে। তাই সরকারকে এখনই নজর দিতে হবে ঝিনাইদহ টু কুষ্টিয়া, মাগুরা টু ঝিনাইদহ এবং দর্শনা/ চুয়াডাঙ্গা টু মেহেরপুর মুজিবনগর পর্যন্ত রেল পথ স্থাপনের। এ অঞ্চলে বিস্তৃত রেল পথ নির্মাণের মাধ্যমে কৃষি পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করা যাবে, নতুন নতুন শিল্প কারখানা তৈরি হবে, বাড়বে কর্মসংস্থানের পরিমাণ যা দেশের জিডিপিতে অবদান রাখবে।বক্তারা বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবী কওে বলেন ,ঝিনাইদহ শহরে পূর্বে যে রেলপথ স্থাপন হয়েছিল সেই সরকারি রেলওয়ের জায়গা যারা দখল করে আছে সেই জায়গা দ্রুত উচ্ছেদ করে পুনরুদ্ধার করার দাবী জানান বক্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top