All Menu

ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট বাণিজ্যে ও দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ট্রেন যাত্রীরা। নাকাল ভুক্তভোগীরা সিন্ডিকেট চক্রের টিকেট বাণিজ্যে ও লাগামহীন দুর্নীতির জিম্মি দশা থেকে অনতিবিলম্বে মুক্তি চান। অভিযোগ উঠেছে, ভানুগাছ রেল স্টেশনের মাস্টার কবির আহমদ বিগত ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই টিকেট বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে ট্রেন যাত্রীদের সাথে তার নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, সিলেটের মাইজগাও স্টেশন হতে বদলি হয়ে এএসএম (সহকারি স্টেশন মাস্টার) হিসাবে বিগত ২০১২ সালে শমশেরনগর স্টেশনে যোগদান করেন। সেখানে দায়িত্বপালন কালীন সময়ে জনৈক গেইট-ম্যান দিয়ে কম্পিউটার থেকে টিকেট কাটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। খোদ রেলওয়ের স্টাফ ও টিকেটের বাড়তি টাকার হাত থেকে ছাড় পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কবিরকে সিলেটের মোগলাবাজার স্টেশনে বদলির আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে গ্রেড-৪ থেকে গ্রেড-৩ মাস্টার হিসাবে তিনি পদোন্নতি পান। সেখানে প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালন করার পর ভানুগাছ রেল স্টেশনে বদলি হয়ে আসেন। সম্প্রতি ভুক্তভোগী স্থানীয় এক সাংবাদিক তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে সোজা বোকা সাজলাম। সিলেট যাবো টিকেট নেই। জানতে পারলাম এখানে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদের মাধ্যমে টিকেট কালোবাজারি সিন্ডিকেট চক্র আছে। তাদের কাছে টিকেট পাওয়া যায়। লাল শার্ট পরিহিত মুন্সি হিসাবে পরিচিত লোকটির সাথে কথা বলার পর বেচারা চলে গেল স্টেশন মাষ্টারের রুমে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আগেই টিকেটের জন্য ১৫০ টাকা নিয়ে গেল। বললো আম গাছের ওখানে থাকতে। ট্রেন আসার সাথে সাথেই টিকিট দেয়া হবে। এভাবে ওই দিন ৬ জনের কাছ থেকে বেচারা টাকা নিয়ে চোরাই পথে টিকেটের ব্যবস্থা করে দেয়। অবশ্য ভাগ বড়টা স্টেশন মাস্টারেরও। ১ম ভিডিওতে, স্টেশন মাস্টারের রুম থেকে সিগারেট টেনে বেচারা বেরিয়ে আসলো, তারপর টাকা নিলো। ২য় ভিডিওতে, আমাকে পরামর্শ, কোথায় দাঁড়াতে হবে। ৩য় ভিডিওতে, ট্রেনে উঠার পর টিকেট বুঝিয়ে লোকটা নেমে গেল। আসলে সেবা অনেক। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভানুগাছ রেল স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন, আমি নিজেই এখানে জিম্মি দশায় রয়েছি। স্টেশনের লেবার হিসাবে কর্মরত মুন্সি সাইদুল টিকেট বাণিজ্য করছে। আমি একাধিকবার নিষেধ করার পরও তাদের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ করছে না। আমার দুর্নীতি‘র একটি প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না। এখানে স্থানীয় লোক কয়েছ, রহিম ও মতুর্জ কাজ করেন। বিশেষ করে আমি তাদের কাছেই জিম্মি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবগত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top