All Menu

বাবুল আক্তারের মুক্তি ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

হেলালী ফেরদৌসী, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মুক্তি ও মিতু হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের হাটফাজিলপুর বাজারে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে এলাকাবাসী। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বাবুল আক্তারের পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাবুল আক্তারের পিতা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, ১১নং আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল বিশ্বাস,জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হাবিবুর রহমান হাবিব,ঝিনাইদহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক শামীমুল ইসলাম শামীম, ১১নং আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারনসম্পাদক ফারুকুজ্জামান উকিল মোল্লা প্রমুখ। বক্তারা, সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত তার মুক্তির দাবী জানান। সেই সাথে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করেন। বাবুল আক্তারের পিতা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন,পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানসহ সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেছে আমারপুত্র সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।তিনি বলেন,২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে আমার পুত্রবধূ মিতু তার ছেলেকে স্কুল-বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।কিন্তু পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা করে পিবিআই। সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত তার মুক্তির দাবী জানান বাবুল আক্তারের পিতা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। সেই সাথে পুত্রবধূ মাহমুদা খানম মিতু হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top