All Menu

প্রাণহানির পরও অপসারণ হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ নির্মিত স্লুইসগেট

মোঃ আশরাফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:একজনের প্রাণহানির পরও ১৫ দিনেও অপসারণ করা হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ভিটাবাড়ি (বাচ্চামারী) খাঁড়িতে ব্যক্তি উদ্যোগে অবৈধভাবে নির্মাণ করা স্লুইসগেটটি। এনিয়ে কৃষক ও জনমনে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ওই এলাকা সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় প্রশাসনের তাৎক্ষনিক তৎপরতায় স্লুইসগেটের সাথে যুক্ত বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলা হলেও অবৈধ স্লুইস গেটটি এখনও অক্ষত দাঁড়িয়ে আছে। অবশিষ্ট বাঁধ সহ এ স্লুইসগেট ভেঙে ফেলার জন্য ১ সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনও তা অপসারণ না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, বাঁধ ও স্লুইস গেটের কারনে তার জমিতে পানি ধরে থাকায় তিনি এখনও চাষ শুরু করতে পারেন নি। গত সপ্তাহে বাঁধ কেটে জমির পানি নামাতে গিয়ে এক কৃষকের প্রাণহানি ঘটলেও এর বিচার হয়নি। উল্টো অবৈধ বাঁধ ও স্লুইসগেট নির্মাণকারী তার স্থাপনা সরাইনি। এ প্রসঙ্গে, স্লুইসগেট নির্মাণে জড়িত হাজার-দিঘী বিলের ইজারাদার নাসিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। এনিয়ে আরও কিছু প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, সাংবাদিকের এত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না। সরাসরি আপনি দেখা করবেন। বলে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন জানান, বিষয়টি রোববার (২১ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। নিশ্চয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, পাউবোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাঁধ ও স্লুইস গেট অপসারণের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গোমস্তাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিষুক্ষেত্র এলাকায় ভিটাবাড়ি (বাচ্চামারী) খাঁড়িতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা স্লুইসগেটের সামনের বাঁধের মাটি কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় নজরুল ইসলাম নামে এক কৃষক। এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন বাঁধের একটি অংশ ভেঙ্গে ফেলে এবং নির্মাণকারী নাসিম কে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাঁধ ও স্লুইচগেট অপসারণের নির্দেশ দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনও অপসারণ হয়নি অবৈধ বাঁধ ও স্লুইচগেটটি। এব্যাপারে তেমন তৎপরতাও লক্ষ করা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top