বিধান দাস, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: এখনো হয়নি প্রতীক বরাদ্দ তবুও নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে করে বিশাল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসেছেনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করতে। একইভাবে ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যরা বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সামনে মনোনয়ন দাখিলে এমন আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের হিড়িক হলেও অজ্ঞাত কারণেই নিশ্চুপ রয়েছেন প্রশাসন।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অসমাপ্ত ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৩৮ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৪ জনের মোট ২০১ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। গত মঙ্গলবার ২৮ জুন ছিল মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হবে ৩০ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৭ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ ৮ জুলাই এবং ভোট গ্রহণ ২৭ জুলাই। এ উপজেলায় এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান নির্বাচন অফিসার। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি এমজি গোলাম রব্বানী, ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মমতাজ আলী মাস্টার ও আদিবাসী নেতা সুজন মুর্মু। অন্যদিকে ৫ নং বাঁচোর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক জীতেন্দ্রনাথ বর্মন, ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি আজিজুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতারুল ইসলাম শালমান শাহ, জ্যোতিষ চন্দ্র রায় মাস্টার ও আরজুনা বেগম।
৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আবু সুলতান, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আল্লামা ইকবাল, ইউনিয়ন আ.লীগ সহ-সভাপতি দিগেন্দ্রনাথ রায়, উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকী, ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি জমিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশা আলম এবং জামায়াত সমর্থিত নেতা শহিদুল্লাহ হাফেজ।
এদিকে আ.লীগ এই ৩টি ইউনিয়নে দলীয় প্রতিকে মনোনয়ন দিলেও দুটি ইউনিয়নে আ.লীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এতে বিপাকে পড়েছে আ.লীগের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে বিএনপি দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে না গেলেও তাদেরও তিনটি ইউনিয়নে রয়েছে ৪ জন প্রার্থী। উপজেলা নির্বাচন অফিসার নুর-ই আলম মুঠোফোনে বলেন,একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ জন ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন। কখনোই বিশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা ও প্রতীক নিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা যাবে না। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তবে আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।