মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মৌলভীবাজারে ছাত্রদের উদ্যোগে বন্যার্ত লোকজনদের ঘরে ঘরে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও জেলার কয়েকটি উপজেলার মধ্যে বন্যায় প্লাবিত সদর, জুড়ী,কমলগঞ্জ, কুলাউড়াসহ অন্যান্য উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাড়াতে উদ্যোগে নিয়েছে একদল ছাত্র সমাজ। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাধুহাটি আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাউরভাগ রমিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াহিদ ছিদ্দেক উচ্চ বিদ্যালয়, আপ্তাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও স্কলার্স কে জি এন্ড হাই স্কুলসহ অন্যান্য মাধ্যমিক ও প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতো হাত বাড়িয়ে দেয় সরকার বাজার এলাকার সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। প্রবাসীরাও এই উদ্যোগে সহযোগিতা করেন। শুকনো খাবারের মধ্যে ছিল, চিড়া, মুড়ি, চিনি, কলা, কেক, মোমবাতি, কয়েল, ঔষধ, স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি। বন্যার্ত মানুষদের পাশে দাড়িয়ে কাজ করেছিলেন সিলেট বিভাগের বিভিন্ন কলেজের ছাত্ররা। তাদের মধ্যে কামরুল উদ্দিন,আজহারুল ইসলাম, সাকের বখত, সৈকত আহমদ ও শিব্বির হাসান(মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ)। কিবরিয়া আহমেদ ও নাদিম চৌধুরী (শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ)। ইবাদুর রহমান রোমান, সাইফুল ইসলাম সাইফ(শাহ মোস্তফা কলেজ মৌলভীবাজার)। মাসুম আহমদ ও রুহান আহমদ (আউশকান্দি র.প উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ)। মাহিন আহমদ(তাজপুর ডিগ্রি কলেজ ওসমানী নগর)। রাজা তালুকদার, রাহিম আহমদ রাহি, তুহিন আহমদ, (গোপাল কৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ)। এছাড়াও বিভিন্ন কলেজ থেকে যোগ দেন ফয়সল, ইমরান, তামিম হাসান। মাধ্যমিক স্কুল থেকে যোগ দেন সাব্বির, জায়েদ, নয়ন, ফাহিম, তোফাজ্জ, ইমনসহ অন্যান্যরা। এ সময় ছাত্ররা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমাদের সাথে যারা যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে সাথে যারা টাকা দিয়ে সহযোগিতা না করতে পারলেও দোয়া-আশীর্বাদ করেছেন তাদেরও অসংখ্য ধন্যবাদ। কিবরিয়া আহমেদ বলেন, শূন্য থাকতে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না, যদি পরিপূর্ণ হওয়া যায় তাহলে অনেককে পাশে পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।