All Menu

ভোলাহাটে ঝড়ে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ভোলাহাটে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ী ঘরসহ পড়ে থাকা গাছ।

মোঃ আশরাফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ভোলাহাটের একটি গ্রামের উপর বয়ে যাওয়া ঝড়ে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক ধারনা করা হয়েছে। ৯ জুন বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ উপজেলার আলারপুর, ফতেপুর, মান্নুমোড়, দূর্গাপুর গ্রামে প্রচন্ড গতির ঝড় আছড়ে পড়লে কাঁচা-পাকা বাড়ী, দোকান ভেঙ্গে যায় এবং টিন উড়িয়ে অন্যত্রে ফেলে দেয়। এছাড়াও সোনাজলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রোপন করা বড় বড় বনজ গাছ রাস্তায় পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ নাহিদ জানান, আমাদের পাকা বাড়ী তারপরও আংশিক ভেঙ্গে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমার প্রতিবেশী এক বিধবা চাচির বাড়ীর টিন উড়িয়ে অন্যত্রে ফেলে দিয়েছে। ফলে এখন তাঁরা খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। ঐ এলাকার প্রফেসর মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, ভোর ৫টার দিকে প্রচন্ড গতিবেগে ঝড় এসে এলাকার বাড়ী ঘর দোকান পাট ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোনাজল রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে

ভোলাহাটে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ী ঘরসহ পড়ে থাকা গাছ।

ধারনা করেন তিনি। আম ব্যাবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক আম ব্যবসায়ীকে পথে বসে যেতে হবে বলে তিনি জানান। জামবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আফাজ উদ্দিন পানু মাঞা জানান, আমার ইউনিয়নে কাঁচা পাকা বাড়ী, দোকান, আম, বনজ গাছসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান। একদিকে বিএমডিএ’র রোপিত বনজ গাছ ঝড়ে রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় দ্রুত সরিয়ে পরিবহন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে বলে বিএমডিএ’র উচ্চতর উপ সহকারী প্রকৌশলী একেএম মঈন জানান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ কাউসার আলম সরকার জানান, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ জানালে বলতে পারবো বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top