All Menu

পঞ্চগড়ে রাস্তায় সন্তানের জন্ম দিলেন ভারসাম্যহীন এক নারী

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:পঞ্চগড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। শনিবার (৪ জুন) সকালে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের জগদল বাজার এলাকায় অগ্রণী ব্যাংকের সামনে মহাসড়কের পাশে ভারসাম্যহীন ওই নারী ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। জানা যায়, ভারসাম্যহীন ওই নারীর নাম সেলিনা আক্তার (২৫)। সে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকার ভ্যান চালক রইস উদ্দীনের স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সেলিনা নামে ওই নারী অন্তঃসত্তা হওয়ার পর। স্বামীর বাড়ি থেকে এদিকে সেদিক ঘোরাফেরা করতেন। তাকে অন্তঃসত্তার ৭মাসে রাখা হয় বাবার বাড়িতে। এক পর্যায়ে বাবার বাড়ির কাউকে কোন কিছু না বলেই শনিবার সকালে পায়ে হেটে বেড়িয়ে পড়েন অজানার উদ্দেশ্যে। হঠাৎ প্রসব ব্যথা, সইতে না পেরে সড়কের পাশেই বালুর স্থুপে সন্তান প্রসব করেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। তার কোল আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক ছেলেশিশু। সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর কান্নায় ওই নারীকে ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদের ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়রা জানান, সকালে ওই নারীকে অগ্রণী ব্যাংকের সামনে সন্তান প্রসব করতে দেখেন স্থানীয় ব্যাবসায়ী ছাব্বির হোসেন। ওই নারীকে সন্তান প্রসবসহ রাস্তার ওপর গড়াগড়ি করতে দেখে স্থানীয়দের ডেকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ কাপড় সহায়তা করে। এর মাঝে ওই ব্যাবসায়ী পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার ফাইটাররা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুসহ ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করান। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, সে সন্তান সম্ভাবা হওয়ার ৭মাসে তাকে বাবার বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামে রাখা হয়। এর মাঝে আজ বাড়ির কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়লে রাস্তায় সন্তান প্রসব করে। সেলিনা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা জানান। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সদ্য জন্মনেয়া শিশুটির নাকে ও মুখে বালু ছিলো। হাসপাতালে আনার পর আমরা সকল ময়লা পরিস্কার করে ওই নবজাতক শিশুসহ তার মাকে চিকিৎসার জন্য ইউনিটে ভর্তি করিয়েছি। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ ও ভালো রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top