মোঃ আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:
সোনালী আঁশ, পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। অন্য ফসলের তুলনায় পাটে লাভবান হওয়া গত কয়েক বছর ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃদ্ধি পেয়েছে পাটের আবাদ। এবছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাটের আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে। অধিকাংশ জমির পাট কর্তন শেষ, এখন পাট জাগ দেয়া ও পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করে তা বিক্রি উপযোগী করা হচ্ছে। পাটের আঁশ ছড়ানো সহ বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রহণ করছেন নারীরাও। মৌসুমের শুরুতেই বাজারে প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-২৬০০ টাকায়, এ দামকে ভালই বলছেন কৃষকরা। গ্রামের পথের ধারে খুব সকালে পাট ছড়ানোর এ দৃশ্য এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেক এলাকাতেই দেখা মিলবে। গত কয়েক বছরে পাটের বাজারমূল্য ভাল হওয়ায় পাট চাষে আবারো আগ্রহী হয়েছে কৃষক। যেন সুদিন ফিরছে ফিকে হতে বসা সোনালী আঁশের। শিবগঞ্জ উপজেলার রাকিব উদ্দীন, ওমর ফারুক সহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, এক বিঘা পাট চাষাবাদে খরচ হয় ৬-৭ হাজার টাকা, পাট বিক্রি করে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। অন্যদিকে এক-বিঘা জমির ধান বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এ লাভের কারনেই অনেকে জমিতে অন্য ফসল না করে পাট চাষাবাদ করছে। পাটের আঁশ ছড়ানোর কাজ করেন সাধারণত গ্রামের নারী ও ছোটরা। কোন কোন ক্ষেত্রে অবসর পেলে পুরুষরাও হাত লাগান। পাটকাঠি জ্বালানী হিসাবে বেশ ব্যবহৃত হয়। আর এ কারনে পাটের এ মৌসুমে গ্রামের নারীরাসহ অনেকেই আঁশ ছড়ানোর কাজ করে থাকেন। কারণ এ কাজে আঁশ ছাড়ানো পাটকাঠিই পারিশ্রমিক, আর মালিকের থাকে পাট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি অর্থকরী ফসল পাট, গতবছর ৩ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছিলো, এবার তা ৩ হাজার ১৭৫ হেক্টর। কিছুটা দেরিতে কর্তন হলেও এখন প্রায় অধিকাংশ পাটই কর্তন শেষ হয়েছে। পাটের দাম হিসাব করলে গত বছর ছিলো ২২০০-২৬০০ টাকা, এবছর সেটা শুরুই হয়েছে ২৫০০-২৬০০ টাকা মন, এ দাম আগামীতে আরো বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। বাজারে ভাল দাম ও দ্রুত কৃষক পাট বিক্রির টাকা ঘরে তুলতে পারায় দিন দিন পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও তাদের সবধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।