মশাহিদ আহমদ, নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কুচিয়া দেখতে সাপের মত। এর রয়েছে বিভিন্ন নাম কুঁচে, কুঁচে মাছ, কুচিয়া, কুইচ্চা বা কুচে বাইম। এটি একটি ইল-প্রজাতির মাছ। Sybranchidae পরিবারের অন্তর্গত এই মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Monopterus cuchia। কুচিয়া সাধারণত কাদাতে থাকে। কাদা খুড়ে খুড়ে এগুলো সংগ্রহ করতে হয়। চা বাগানে চা শ্রমিকদের উন্নত ও সুস্বাদু খাবারের মধ্যে কুচিয়া অন্যতম একটি খাবার। এছাড়া কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে মানুষ বিভিন্ন রোগের প্রতিকারের জন্যও এগুলো খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। কমলগঞ্জ উপজেলার রাজেন্দ্র সিংহ জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন কুচিয়ার খামার। ১টি ট্যাংক পাকা করে এর মধ্যে পানি রেখে এর চাষ শুরু করেন। ট্যাংক এর পাশে আর একটি ট্যাংক বানানো হয়েছে স্ত্রী ও পুরুষ কুচিয়া বা প্রজননের জন্য। কুচিয়াকে খাবার হিসেবে কেঁচো, ছোট ছোট মাছ, শুঁটকির গুরা এবং মাছের খাবার দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, কুচিয়া এটা একটি লাভজনক ব্যবসা। আগেকার দিনে হাওরে যারা কুচিয়া ধরে তাদের কাছ থেকে বাচ্চা কুচিয়া কেজি ধরে কিনে এনে খামারে রেখে বড় করে বিক্রি করা হত। একটি কুচিয়া প্রায় ২ কেজির চেয়ে বেশি ওজনের হয়। তবে এখন আর্থিক সমস্যার কারনে অনেকেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে পারছেন না। সরকারী সহায়তা পেলে এ কাজে লোকজন এগিয়ে আসতো। দেশের চাহিদা মিটিয়ে তা বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব হতো। সরকারের রাজস্ব বাড়তো, নিজেও স্বাবলম্বী হতো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।