All Menu

ঘুষমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গীকার

যে মানুষগুলো ছাত্রজীবন থেকে কর্মজীবন, পরিবার-সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে অনৈতিক সুবিধা ভোগ করেছে, অর্থ কিংবা ক্ষমতার দাপটে নিয়ম বদলে ফেলেছে কিংবা যাদের ইশারায় আইন বদলে যেতো- এখন তারা ভীষণ বিপদে! ঘুষ যারা প্রদান করে এবং ঘুষ যারা গ্রহন করে তাদের সবাই কমবেশি অস্বস্তিকর পরিবেশে হাতড়াচ্ছে! দুর্নীতির যে ব্যাধিতে সমাজ-রাষ্ট্রের গলা অবধি নিমজ্জিত ছিল তা আপতত বুকের কাছাকাছি নেমেছে। ঘুষ-দুর্নীতি দুনিয়ায় পুরোপুরি বন্ধ হবে না বটে কিন্তু অন্তত হাঁটুর নিচে নামুক- তেমন প্রত্যাশা প্রত্যহ পুষি। অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যাধির মত জাতিকে গ্রাস করতে শুরু করেছিল। বিগত কয়েকবছর খুব কম সংখ্যক অফিসে ঘুষের লেনদেন বন্ধ ছিল। সেবা প্রত্যাশী-জনতাও ভেবে নিয়েছিল, সব কাজে উৎকোচ উপহার দিতেই হবে। টাকা ছাড়া যেখানে গাছের পাতাটিও নড়ে না সেখানে ঘুষ ছাড়া ফাইল ছাড় পাবে কীভাবে! বৃদ্ধের পেনশন পাশ হয় না কারন কাগজ ঠিকঠাক নাই অথচ কাগজের ক’খানা নোট সব ত্রুটি ঠিকঠাক করে ফেলে। বয়স্ক ভাতা থেকে মানুষকে মানবসম্পদ গঠনের টেন্ডার- কোথাও পয়সার চালাচালি বন্ধ ছিলো না। চাকুরি প্রাপ্তি থেকে কবরস্থানে জায়গা পাওয়া- দু’পাইস কামাইয়ের ধান্ধায় একদল সবসময়েই সরব ছিল। তারা এখনও যে হারিয়ে গেছে সেকথা বলছি না তবে আপাতত নিস্ক্রিয় থেকে পরিস্থিতি অবলোকন করছে। তাদের সময় সান্নিধ্যে এলেই আবার ঝাঁপিয়ে পড়বে।

যারা দুইনম্বরিতে অভ্যস্ত তারা ঘুষের দেশে, দুর্নীতির দেশে কিংবা অনিয়মের দেশে সব থেকে ভালো থাকে। কিছু বিনিয়োগ করে যদি বহুকিছু হাসিল করা যায় তবে মন্দ কিসে! ইউনিয়নের ভূমি অফিস থেকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণক সংঘ- সর্বত্রই দুর্নীতি জাল ছড়িয়েছিল। এই জাল গুটানোর দায়িত্ব কাউকে না কউকে নিতেই হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনতার প্রত্যাশা অনেক বেশি। তরুণদের বাঁচার মত বাঁচার জন্য একটি ক্ষেত্র এবার তৈরি হবে- আমজনতার আশা। ঘুষ-দুর্নীতি অনিয়ম কেবল অর্থের বিনিময়েই হয় না বরং স্বজনপ্রীতি, সুপারিশের মাধ্যমেও ঘুষের লেনদেনে যা না হয় তার চেয়ে বড় বড় অপরাধ হয়। আরও ভয়ঙ্কর অনিয়ম ঘটে। এইসব অকাজ-কুকাজে যেমন যোগ্য জনতা বঞ্চিত হয় তেমনি রাষ্ট্রও বহুমাত্রিক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা ভিন্ন উপায়ে কার্যোদ্ধার করত তাদের এই ট্রানজেকশনাল পিরিয়ডে অনেকেরই মন খারাপ! পাপ বাড়াতে পারছে না! শয়তান বসে থাকতেও দিচ্ছে না! ঘুষখোরদের অনেকেই সাহস করে ঘুষ ধরছে না আবার উৎকোচ দিয়ে যারা কার্য হাসিল করতো তারাও অবৈধ সুবিধা আদায় করতে পারছে না। বিগত দিনগুলোতে যে সকল দপ্তর ঘুষ ও ঘুষখোরের আঁকড়া হিসেবে পরিচিত ছিল সেখানে এখন কাজের গতি খুব কম। সরকারকে সেবার প্রদানের গতি বাড়াতে হবে। লাখ লাখ বেকার ঘুরছে। ঘুষখোর চিহ্নিত করে ছাঁটাই করে বেকারদের বেশি বেশি কাজের সুযোগ দিন। ঘুষমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গীকার পূরণ হবে। দেশের সম্যক চিত্র বদলে যাবে।

সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে যারা অনৈতিক বিনিময় ছাড়া কোন কাজ করতো না, পয়সা ছাড়া যাদের টেবিলে ফাইল নড়তো না তাদের অনেক সেক্টরই রাষ্ট্রের কাছে অচেনা নয়। যে অফিসের একজন সামান্য কর্মচারী কোটিপতি, যে অফিসের ড্রাইভার আলিশান বাড়ি-গাড়ির মালিক, মধ্যশ্রেণীর যে কর্মকর্তা চাকুরিতে নবীন হয়েও কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক সেইসব অফিসের শীর্ষস্থানীয়দের সিংহভাগ সাধু- এই কথা শয়তানেও স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাস করবে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণ জমা হওয়ার সাথে সাথেই আশু তদন্ত/খোঁজ কমিশন গঠন করে অবৈধসম্পদ অর্জনকারীদের চিহ্নিত করে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিলে এবং দুর্নীতির মাত্রানুযায়ী দন্ড দিলো দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে। দুর্নীতিবাজদেরকে চরমভাবে ঝাঁকুনি দিতে না পারলে এই রাষ্ট্রের সক্ষমতার মেরুদন্ড কখনোই সোজা হবে না এবং সমাজে বৈষম্য ও অনাচার কমবে না। সমাজের মধ্যে যারা অন্যায়কে হালাল ঘোষণা করে অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছে, রাষ্ট্রের আমানত তছরূপ করেছে কিংবা আয়বহির্ভূত সম্পদের পাহাড় গড়েছে- তাদের মুখগুলো প্রকাশ্যে আনা প্রয়োজন। মিডিয়ায় এনে দেশবাসীকে চাঁদমুখগুলো দেখানো দরকার। যাতে ঘৃণা করতে, থুতু দিতে এবং বয়কট করতে সহজ হয়। যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োজিত তাদের দ্বারা কৃত ৫০% দুর্নীতি অনিয়ম বন্ধ করা গেলে বেসরকারি সেক্টরের ৯৯% দুর্নীতি বন্ধ হবে। রাষ্ট্র একবার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেখুক। এটা ঘটবেই।

দায়িত্ববানদের অবহেলাতেই তড়তড় করে অনিয়ম বেড়ে চলেছে। অবহেলা দু’ভাবে হতে পারে। প্রথমত: যাদের নজরদারির দায়িত্ব তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। দ্বিতীয়ত: অনিয়ম কোথায় কোথায় হচ্ছে- সেটা জানা কর্তারা অর্থের বিনিময়ে অবৈধকে বৈধতা দান করছে। ঘুষ ছাড়া সরকারি দফতরে কাজ হয় না, সেবা ও সাক্ষাৎ মেলে না- সমাজে এই সত্য প্রচারিত হতে যে সকল সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করত হবে। এজন্য সংবিধানের ৭৭নং অনুচ্ছেদ তথা ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং সৎ, নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাময়িক সময়ের জন্য পৃথক পৃথক দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে জনবল বাড়াতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন-ছাত্র-শিক্ষক ও সুশীল সমাজের সমন্বয়ে অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। গ্রহনযোগ্য আলেমদেরকে সংশ্লিষ্ট করে সেমিনারের আয়োজন করা যেতে পারে। অন্তত দুঃখজনক যে, বিভিন্ন আফিসে পরিচালিত মিনিস্ট্রি অডিট ও ইন্টারনাল অডিটের বিরুদ্ধেও সীমাহীন অভিযোগ আছে। অর্থের লেনদেনে সেখানে অনেক জালিয়াতি এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষতি চাপা পড়ে যায়। যারা পাহারাদার তারাও যদি ডাকাতিতে লিপ্ত হয় তবে সে জাতির মুক্তি অসম্ভব। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে পেনশন নিয়ে যেতে না পারে সেটার ব্যবস্থা করুন। দুর্নীতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন সংস্কার করাও জরুরি। ইসলামে চুরির জন্য হাত কর্তনের নিয়ম, ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতাকে জাহান্নামের দুঃসংবাদ শোনানোর গুপ্ত বার্তাটিও রাষ্ট্রকে অনুধাবন করতে হবে।

এই রাষ্ট্রে যত ধরণের সমস্যা সেসবের সিংহভাগ সমাধান হবে- দুর্নীতিবিরোধী কমিশন ও সেল গঠন করার মাধ্যমে। অতীতের দীর্ঘ সময় ঘুষ-দুর্নীতি বেতন-ভাতার মত অর্থ সংস্থানের স্বাভাবিক উৎস হওয়ায় অবৈধ ইনকামে মানুষের অপরাধবোধও লোপ পেয়েছে। ঘুষখোরদের লজ্জা হারিয়েছে সে দীর্ঘকাল! জাতিবিনাশী এই ট্রেন্ড বন্ধ করতে হবে। ঘুষ বন্ধের বিষয়ে কমিশন করে খোঁজখবর নিতে হবে- বৈধ আয়ের সাথে ব্যক্তির ব্যয় সামঞ্জস্য কি-না? নবম পে-কমিশন গঠনের মাধ্যমে পে-স্কেল দিতে হবে। কেননা বাজারদর, জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে বেতন তাল মেলাতে পারছে না। তবে শুধু বেতন বৃদ্ধিই দুর্নীতি-ঘুষ বন্ধের একমাত্র প্রতিষেধক নয়। যাদের রক্তে দুর্নীতি মিশে গেছে, যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অবৈধ আয়ের স্বপ্ন প্রবাহিত হচ্ছে তাদের আইনের মুখোমুখি করতে হবে। শুধু মৌখিক ঘোষণায়, কাগজ-কলমে, বিজ্ঞাপন-প্রজ্ঞাপনে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হবে না। প্রত্যেক জেলায়, প্রত্যেক দফতরে, প্রত্যেক মন্ত্রনালয় প্রতিবছর দৈবচয়নের ভিত্তিতে কতিপয় কর্মকর্তার আয়কর বিবরণীর সাথে তার উৎসের সম্পত্তি মিলছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশিত সম্পদ বিবরণী দাখিলের পরে এই উদ্যোগ শুরু হলে দেশ থেকে দুর্নীতির সিংহভাগ দূর হবে। সে অফিসের পিয়ন চাপরাশির জন্য অনৈতিক কাজে জড়ানো কঠিন যে দফতরের কর্মকর্তা পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ঘুষ-দুর্নীতি দতে সংশ্লিষ্টতা কিংবা সমর্থন না থাকে। কেউ ঘুষ খাচ্ছে দেখে আমিও ঘুষ খাবো বা খাই- এটা কোন মানুষের উত্তর হতে পারে না।

বাজারের ব্যয় থেকে ১০/২০ টাকা জমিয়ে কোটি টাকার মালিক হতে হাজার দেড়েক বছর লাগে! কাজেই এইসব আবেগীয় গল্প বিশ্বাস করার মানসিকতায় তরুণ-যুবকরা নাই। প্রত্যেক অফিসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৎ কর্মরতা-কর্মচারী আছে। কে কী পরিমাণ সম্পদ অবৈধ আয়ে অর্জন করেছে তা প্রতিবেশি-পরিজন জানে। কোন এ্যাপস তৈরি করে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কিংবা টোল ফ্রি নম্বর চালু করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তথ্য নিন। সহকর্মীদের থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেল তৈরি করুন। কোটি টাকামূল্যের অধিক অর্থ/সম্পদ যারা অবৈধভাবে অর্জন করেছে কেবল তাদের তথ্য নিলেও হাজার হাজার ঘুষখোরের খোঁজ মিলবে। যদি কেউ ভুল কিংব ভূয়া তথ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য তদন্তকারীদেরকে ভোগায় তবে তাদের জন্য দন্ডের বিধান রেখে আইন পাশ করুন। ঘুষ-দুর্নীতি দমনের জন্য এক টায়ারের নজরদারি দ্বারা হবে না । সারাদেশের সব বিষয়ে সংস্কার করতে সহস্রবছর লাগবে! রাজনৈতিকদলগুলো সেই অবকাশ অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দেবে বলে তাদের ভাবভঙ্গিমায় মনে হচ্ছে না। ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতিতে ক্ষমতাতে যাওয়া ও থাকাই মূখ্য। তখন রাজনৈতিক দল প্রতিশ্রুতি ভুলে যায় এবং কখনো কখনো তারাও বিপথগামীতার পথে পা বাড়ায়! কাজেই বর্তমান সরকারকে অগ্রাধিকারমূলক ভিত্তিতে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ রেখে যেতে হবে যাতে এদেশের সব মানুষের মঙ্গল হয়। দেউলিয়াত্বের পরে বদলে যাওয়া শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে জাজ্জ্বল্যমান। কেবল দুর্নীতি বন্ধ করে দেশটি আবার নতুন করে মেরুদন্ডে ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরাও মানুষদের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন করতে পারবো না তবে ঘুষের লাগাম টানতে পারলে দেশটা আমূল বদলে যাবে।

ঘুষ-দুর্নীতিতে যারা ডুবে থাকতো, একটাকার খরচে যারা রাষ্ট্রীয় তিনটাকা লুটপাট করেছে, বদলি ও পদায়নভিত্তিকভিত্তিক সিন্ডিকেটের বাণিজ্য থেকে শুরু করে টেন্ডার বাণিজ্য লুটপাটে যারা নিয়মিত গ্রাহক তারা বেশকিছুদিন ধরে ভালো নাই। যারা টাকা নিয়ে চাকুরি দিতে পারতো, অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সুপারিশ করতো তাদের এই ভালো না থাকাটা যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় সেই ব্যবস্থা রাষ্ট্র স্থায়ীভাবে করুক। অর্থপাচারকারীদের স্বপ্নভূমির তকমাতে বাংলাদেশের নাম না থাকুা। সুন্দর সিস্টেম প্রবর্তন ছাড়া বোধকরি ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। নতুন সরকারের প্রারম্ভিক সময়েই বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানে আমূল পরিবর্তন হয়েছে, থানাগুলোতে পরিবর্তনের কিছুটা সুবাতাস বইছে। একজন বিসিএস শিক্ষা কর্মকর্তা আলাপকালে বললেন, চাকুরিতে যোগদানের দীর্ঘবছরেও কোনদিন পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের কাগজ সত্যায়িত (‘সত্যায়িত’- এটা ভালো সিস্টেম কিনা সেটা নিয়েও ভাবা যেতে পারে) করাতে কেউ আসেনি অথচ গত তিনমাসের অফিসের দিনগুলোতে এই জাতীয় কাগজ সত্যায়িত করতে করতে হাত ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। কাজেই বোঝা যায়, পরিবর্তন ঘটছে, ধীরে হলেও আসছে।। প্রশাসনের স্বচ্ছতাও অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। অন্তবর্তীকালীন সরকারের গত তিন মাসের মেয়াদকে এককথায় যদি মূল্যায়ন করতে চাই তবে বলতে হববে, তারা ঘুষের লেনদেন কমাতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই ঘুষেই যাদের জীবন-মরন তাদের কিছুটা মন খারাপ থাকবে- সেটাই তো স্বাভাবিক। নতুন প্রজন্ম যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে সেই বাংলাদেশের চিত্র হবে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন সোনার বাংলাদেশ। যেখানে রাজনীতিকে ব্যবসায়ের হাতিয়ার হতে দেওয়া হবে না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

রাজু আহমেদ, কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top