All Menu

গত সরকারের সময় যারা উচ্ছিষ্ট ছিল তারাই এখন গলা তুলে কথা বলার চেষ্টা করছে

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ১৮ সালের ভোটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমার ওপর আস্থা রাখেন নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে। কিন্তু তিনি নিজের উপরই আস্থা রাখতে পারলেন না, তিনি ৩০ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৯তারিখ রাতেই নির্বাচন শেষ করে ফেললেন। এই নির্বাচনকে মানুষ বলেন, নিশি রাতের নির্বাচন। ২৪এর নির্বাচনে তারা বিভীষিকাময় রাষ্ট্রের সৃষ্টি করলেন। যে আওয়ামী লীগ নিজেই নির্বাচন চায়না, এরা কারা যারা এখন নির্বাচনে আসার দাবি করে? গত সরকারের সময় যারা উচ্ছিষ্ট ছিল তারাই এখন গলা তুলে কথা বলার চেষ্টা করছে। কিন্তু ছাত্র-জনতা যেমন স্বৈরাচারকে তারাতে পেরেছেন তারাই এই ভুতকে তারাতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

শনিবার (১৯অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ হেফজুল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুজার গিফারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, রাজশাহী মহানগরের আমীর আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি লতিফুর রহমান, সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান প্রমূখ।

এসময় ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বলেন-অন্তর্বর্তী সরকারের আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কি নির্বাচনে আসতে পারবে? আমরা বলি আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচন চাইতো তাহলে তারা নির্বাচনের প্রমাণ দিতে পারতো। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জবাই করেছে। তারা ক্ষমতায় আসার পর তিনবার নির্বাচন করেছে। কিন্তু এদেশের যুবক-তরুণ-তরুণীসহ সাধারণ মানুষকে তারা ভোট দিতে সুযোগ দেয়নি।

তিনি বলেন, ১৪সালের নির্বাচনে ১৫৩জন বিনা-ভোটে পাস করলো। তখন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, কারণ আমরা তাদের ভোট দিতে যেতে নিষেধ করেছিলাম। আপনারা দেখেছেন তখন ভোটকেন্দ্রে কুকুরগুলো প্রশান্তির সাথে ঘুমচ্ছিল, মানুষের সমাগম সেখানে ছিল না। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top